নিউইয়র্ক ০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাশে আছে ন্যাটো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩২ বার পঠিত

ছবি: সিএনএন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ হামলায় প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে গেছে লাখো মানুষ। এই অবস্থায় শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিলেও পরাশক্তিগুলোর রাজনীতির ফন্দিফিকিরে তা আর আলোর মুখ দেখছে না। কেননা যুদ্ধ বন্ধ হলে বন্ধ হয়ে যাবে অস্ত্র বিক্রির রমরমা ব্যবসা। সে কারণে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ এ খেলায় নীতির মায়াকান্না না কেঁদে সবাই স্বার্থসিদ্ধির দিকেই দৌড়াচ্ছে। ফলে সব বাস্তবতাকে সামনে রেখে যুদ্ধ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। অস্ত্রের গর্জনে প্রকম্পিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে রুশ আগ্রাসনের এক বছর হয়ে গেল। তবুও থামছে না যুদ্ধ।

ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ চাওয়া নিয়েই এই যুদ্ধের সূত্রপাত। রাশিয়া কোনোভাবেই চাচ্ছিল না ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে। কারণ ন্যাটোর পাল্লা ভারী হলে তা মস্কোর জন্যই ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যে ন্যাটোকে নিয়ে এত কথাবার্তা, সেই ন্যাটোই বলেছে, তারা ইউক্রেনের পাশে আছে। গত বছরের এই সময়ে কৌশলগত কারণে প্রতিশ্রুতি না দিলেও বর্তমানে ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তারা ইউক্রেনকে বাঁচাতে দেশটির পাশে আছে। এজন্য সম্প্রতি মিত্র দেশগুলোকে দ্রুত ভারী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তা করছে।

উদ্দেশ্য একটাই কিয়েভ যেন নিজেদের আত্মরক্ষায় এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ৩১টি আব্রামস ট্যাংক, যুক্তরাজ্য ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক, জার্মানি ১৪টি লেপার্ড এবং নরওয়ে আটটি লেপার্ড ট্যাংক পাঠাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সাঁজোয়া যান স্ট্রাইকার এবং ব্রাডলি পাঠিয়েও সহায়তা করছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে হিমার্স এবং এম ১৪২-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠিয়েছে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ হাউইটজার এবং রকেট চালিত গ্রেনেড সরবরাহ করেছে।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রাশিয়াকে অস্ত্র দেবে চীন?

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র জাভেলি এবং এনল সরবরাহ করে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অত্যন্ত গোপন ও ঝটিকা সফরে ইউক্রেনে গিয়ে ন্যাটোর প্রশংসা করেন। পোল্যান্ড হয়ে তিনি সেখানে যান। বাইডেন কিয়েভে ভাষণে বলেন, ‘পুতিন ভেবেছিলেন বিশ্ব গুটিয়ে যাবে, কিন্তু এমনটি ভেবে তিনি ভুল করেছেন। তিনি বলেন, ন্যাটো এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ।

আরোও পড়ুন । কোন দিকে যাবে ইউক্রেন যুদ্ধ

কিয়েভ শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে, তাই ইউক্রেন অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়ী হবে।’সবশেষ বলা যায়, পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করে শুধু শুধুই বিশ্ব পরিস্থিতিকে জটিল করে তুললেন। কারণ যে আগুন নিয়ে তিনি খেলছেন, সে আগুনের উত্তাপ যে তার ঘরেও এসে পড়বে না, তা কে বলতে পারে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সাথী/ হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাশে আছে ন্যাটো

প্রকাশের সময় : ১১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রুশ হামলায় প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে গেছে লাখো মানুষ। এই অবস্থায় শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিলেও পরাশক্তিগুলোর রাজনীতির ফন্দিফিকিরে তা আর আলোর মুখ দেখছে না। কেননা যুদ্ধ বন্ধ হলে বন্ধ হয়ে যাবে অস্ত্র বিক্রির রমরমা ব্যবসা। সে কারণে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ এ খেলায় নীতির মায়াকান্না না কেঁদে সবাই স্বার্থসিদ্ধির দিকেই দৌড়াচ্ছে। ফলে সব বাস্তবতাকে সামনে রেখে যুদ্ধ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। অস্ত্রের গর্জনে প্রকম্পিত হচ্ছে আকাশ-বাতাস। এরই মধ্যে দেখতে দেখতে রুশ আগ্রাসনের এক বছর হয়ে গেল। তবুও থামছে না যুদ্ধ।

ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ চাওয়া নিয়েই এই যুদ্ধের সূত্রপাত। রাশিয়া কোনোভাবেই চাচ্ছিল না ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারে। কারণ ন্যাটোর পাল্লা ভারী হলে তা মস্কোর জন্যই ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যে ন্যাটোকে নিয়ে এত কথাবার্তা, সেই ন্যাটোই বলেছে, তারা ইউক্রেনের পাশে আছে। গত বছরের এই সময়ে কৌশলগত কারণে প্রতিশ্রুতি না দিলেও বর্তমানে ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তারা ইউক্রেনকে বাঁচাতে দেশটির পাশে আছে। এজন্য সম্প্রতি মিত্র দেশগুলোকে দ্রুত ভারী ও অত্যাধুনিক অস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তা করছে।

উদ্দেশ্য একটাই কিয়েভ যেন নিজেদের আত্মরক্ষায় এসব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র ৩১টি আব্রামস ট্যাংক, যুক্তরাজ্য ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাংক, জার্মানি ১৪টি লেপার্ড এবং নরওয়ে আটটি লেপার্ড ট্যাংক পাঠাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র সাঁজোয়া যান স্ট্রাইকার এবং ব্রাডলি পাঠিয়েও সহায়তা করছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে হিমার্স এবং এম ১৪২-এর মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পাঠিয়েছে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ হাউইটজার এবং রকেট চালিত গ্রেনেড সরবরাহ করেছে।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রাশিয়াকে অস্ত্র দেবে চীন?

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র জাভেলি এবং এনল সরবরাহ করে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার অত্যন্ত গোপন ও ঝটিকা সফরে ইউক্রেনে গিয়ে ন্যাটোর প্রশংসা করেন। পোল্যান্ড হয়ে তিনি সেখানে যান। বাইডেন কিয়েভে ভাষণে বলেন, ‘পুতিন ভেবেছিলেন বিশ্ব গুটিয়ে যাবে, কিন্তু এমনটি ভেবে তিনি ভুল করেছেন। তিনি বলেন, ন্যাটো এখন আগের চেয়েও বেশি ঐক্যবদ্ধ।

আরোও পড়ুন । কোন দিকে যাবে ইউক্রেন যুদ্ধ

কিয়েভ শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে, তাই ইউক্রেন অবশ্যই এই যুদ্ধে জয়ী হবে।’সবশেষ বলা যায়, পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করে শুধু শুধুই বিশ্ব পরিস্থিতিকে জটিল করে তুললেন। কারণ যে আগুন নিয়ে তিনি খেলছেন, সে আগুনের উত্তাপ যে তার ঘরেও এসে পড়বে না, তা কে বলতে পারে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সাথী/ হককথা