নিউইয়র্ক ০৮:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পার্লামেন্টের কাছে নতুন রুশ দূতাবাস আটকে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ৫৩ বার পঠিত

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের কাছে একটি জমি ২০০৮ সালে ইজারা নেয় রাশিয়া।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে রাশিয়াকে ক্যানবেরায় নতুন দূতাবাস নির্মাণ থেকে বিরত রাখতে আইন পাশ করবে।প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন যে, আইনটি নিরাপত্তা সংস্থার পরামর্শের ভিত্তিতে রাজধানীতে রাশিয়ার ইজারা বাতিল করবে। আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পার্লামেন্ট হাউজের এত কাছে রাশিয়ান উপস্থিতির ঝুঁকি সম্পর্কে সরকার খুব স্পষ্ট নিরাপত্তা পরামর্শ পেয়েছে। ইজারার সাইটটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’ খবর আল জাজিরার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত গত মাসে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির (এনসিএ, শহরের পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা) করা একটি উচ্ছেদ আদেশ অবৈধ ছিল বলে রায় দিয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে।

আরোও পড়ুন । সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

আলবানিজ বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে,আজকের সিদ্ধান্তটি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। আমি এই বিষয়ে তাদের সহযোগিতার জন্য হাউজ এবং সিনেটের জোট [বিরোধী দল] এবং ক্রসবেঞ্চারদের ধন্যবাদ জানাই।’ রাশিয়া ২০০৮ সালে ক্যানবেরার কূটনৈতিক কোয়ার্টারে ওই জায়গাটির ইজারা কিনেছিল। সেখানে ২০১১ সালে তাদের নতুন দূতাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে, কাজটি তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দূতাবাসটি শুধুমাত্র আংশিকভাবে নির্মিত হয়েছে। এনসিএ তারপর রাশিয়ান ইজারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা উল্লেখ করে যে ‘চলমান অসমাপ্ত কাজগুলো কূটনৈতিক মিশনের জন্য সংরক্ষিত এলাকার সামগ্রিক নান্দনিকতা, গুরুত্ব এবং মর্যাদা বিঘ্নিত করছে।’

পার্লামেন্ট হাউস থেকে আরও দূরে গ্রিফিথের শহরতলোতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দূতাবাসে থাকা রাশিয়ার বর্তমান দূতাবাসের ইজারা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল বলেছেন যে, প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাশিয়ান দূতাবাসের ‘প্রধান সমস্যা’ এর অবস্থান। কারণ সাইটটি সরাসরি সংসদ সংলগ্ন। তিনি বলেন, সেখানে কোনো দূতাবাস নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। রাশিয়ার দূতাবাস আগেই ঘোষণা করেছে যে তারা অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও নির্মাণ শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনের বৃহত্তম নন-ন্যাটো সমর্থকদের মধ্যে একটি এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান আক্রমণের পর থেকে দেশটিকে সহায়তা, গোলাবারুদ এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পার্লামেন্টের কাছে নতুন রুশ দূতাবাস আটকে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে রাশিয়াকে ক্যানবেরায় নতুন দূতাবাস নির্মাণ থেকে বিরত রাখতে আইন পাশ করবে।প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন যে, আইনটি নিরাপত্তা সংস্থার পরামর্শের ভিত্তিতে রাজধানীতে রাশিয়ার ইজারা বাতিল করবে। আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পার্লামেন্ট হাউজের এত কাছে রাশিয়ান উপস্থিতির ঝুঁকি সম্পর্কে সরকার খুব স্পষ্ট নিরাপত্তা পরামর্শ পেয়েছে। ইজারার সাইটটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’ খবর আল জাজিরার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালত গত মাসে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির (এনসিএ, শহরের পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা) করা একটি উচ্ছেদ আদেশ অবৈধ ছিল বলে রায় দিয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলে।

আরোও পড়ুন । সন্ধ্যায় আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

আলবানিজ বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে,আজকের সিদ্ধান্তটি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নেওয়া হয়েছে। আমি এই বিষয়ে তাদের সহযোগিতার জন্য হাউজ এবং সিনেটের জোট [বিরোধী দল] এবং ক্রসবেঞ্চারদের ধন্যবাদ জানাই।’ রাশিয়া ২০০৮ সালে ক্যানবেরার কূটনৈতিক কোয়ার্টারে ওই জায়গাটির ইজারা কিনেছিল। সেখানে ২০১১ সালে তাদের নতুন দূতাবাস নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে, কাজটি তিন বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দূতাবাসটি শুধুমাত্র আংশিকভাবে নির্মিত হয়েছে। এনসিএ তারপর রাশিয়ান ইজারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা উল্লেখ করে যে ‘চলমান অসমাপ্ত কাজগুলো কূটনৈতিক মিশনের জন্য সংরক্ষিত এলাকার সামগ্রিক নান্দনিকতা, গুরুত্ব এবং মর্যাদা বিঘ্নিত করছে।’

পার্লামেন্ট হাউস থেকে আরও দূরে গ্রিফিথের শহরতলোতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দূতাবাসে থাকা রাশিয়ার বর্তমান দূতাবাসের ইজারা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল বলেছেন যে, প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাশিয়ান দূতাবাসের ‘প্রধান সমস্যা’ এর অবস্থান। কারণ সাইটটি সরাসরি সংসদ সংলগ্ন। তিনি বলেন, সেখানে কোনো দূতাবাস নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। রাশিয়ার দূতাবাস আগেই ঘোষণা করেছে যে তারা অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও নির্মাণ শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনের বৃহত্তম নন-ন্যাটো সমর্থকদের মধ্যে একটি এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান আক্রমণের পর থেকে দেশটিকে সহায়তা, গোলাবারুদ এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। সূত্র : ঢাকা মেইল

বেলী/হককথা