নিউইয়র্ক ১১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাকিস্তানের রাজনীতিকরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৭১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান অতীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৬৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা। এই মন্দা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড়সড় ভাঙন ডেকে আনে। শেষ পর্যন্ত দেশটি ১৯৭৭ এবং ১৯৯৯ সালে সামরিক আইনের দিকে পরিচালিত হতে বাধ্য হয়। সেইসাথে দেখা দেয় নিরাপত্তা সংকট। ১৯৭০ সালে দেশের একাধিক অংশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে । ১৯৭৭ সালে দেশব্যাপী মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় । ২০০৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রায় সারা দেশেই সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংকটের সময় দেশটি মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছিলো । ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পতনের পর বীরত্বের সঙ্গে এসব সংকটের অধিকাংশই মোকাবিলা করেছে পাকিস্তান । কিন্তু বর্তমানে দেশের মানুষ যা প্রত্যক্ষ করছে তা হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংকট। পরিবেশগত বিপর্যয় মানুষকে বারবার আঘাত করেছে। ২০২২ সালে পাকিস্তান ভারী বৃষ্টিপাত এবং বিধ্বংসী বন্যার মুখোমুখি হয়। বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি অংশের মানুষ এখনো এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা সৃষ্ট বিশাল ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের ওপরও পড়েছে ।

এককথায় একাধিক সমস্যায় জর্জরিত দেশটি।
একটি আধুনিক রাষ্ট্রে, সমস্ত সংকট দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের যে সংকট বাকি সব সমস্যাকে ফিকে করে দিয়েছে তা হলো রাজনৈতিক সংকটের আধিপত্য। আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সমস্যাগুলির সমাধান নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে । বর্তমান সংকটকে চরম মাত্রার মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যদিও পাকিস্তান অতীতে রাজনৈতিক মেরুকরণ দেখেছে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭৭-এর নির্বাচন পরবর্তী সময়ের মতো, বর্তমান ফাটল আগের চেয়ে আরও গভীর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । তবে এই বিভাজনগুলো আর রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে সীমাবদ্ধ নেই, যা বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়েছে।

আরোও পড়ুন ।সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতারের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

অনেকে প্রশ্ন করেন যে, দেশে এত রাজনৈতিক অস্থিরতা কেন ? রাজনৈতিক নেতা এবং অন্যান্য প্রভাবশালীরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছুই করছে না কেন? এর উত্তর হলো- ক্ষমতার প্রতি আসক্তি। যে আসক্তিকে রাজনৈতিক নেতারা অস্বীকার করতে পারেন না। তাই একবার ক্ষমতা চলে গেলে তারা অস্থিরতায় ভোগেন, কর্মহীন হয়ে পড়েন। কখনো কখনো হিংস্র হয়ে ওঠেন । এমনকি আত্মহননের পথও বেছে নেন । তারা তাদের অবস্থার মূল্যায়ন করতে অক্ষম। তারা ভিক্ষা চাইতেও দ্বিধাবোধ করে না , কিন্তু এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পদ্ধতিগত চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজনবোধ করে না তারা। গত ৭০বছর ধরে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদরা পৃষ্ঠপোষকতায় আসক্ত। সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া তার বিদায়ী ভাষণে একথা স্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নন। যখনই তারা তা করার চেষ্টা করেছেন , তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন জুলফিকার আলী ভুট্টো সম্ভবত সবথেকে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করেছিলেন। কারণ তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তখন ঢাকায় পরাজয়ের পরপরই সামরিক বাহিনী সবচেয়ে দুর্বল ছিল। তিনি অনেক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন । পরে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানদেরও বরখাস্ত করেন। এর জন্য তাকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। বেনজির ভুট্টো আপস করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সম্ভবত সেটি যথেষ্ট ছিলো না । নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কর্তৃত্ব জাহির করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বরখাস্ত, কারাবাস, নির্বাসন – সবকিছুই তাকে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে । ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার ৪৪ মাসের শাসনামলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একই পথে হেঁটেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইএসআই প্রধানের প্রতি নিজের পছন্দ জাহির করায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়। রাজনীতিবিদরা, সরকারে হোক বা বিরোধী দলে হোক, এই সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পরিচিত। যেকোনো নীতি নির্ধারণের জন্য এবং তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয় ।

আরোও পড়ুন । আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম

নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের এই নির্ভরশীলতার সাম্প্রতিক প্রমাণ হলো ইমরান খানের একটি স্বীকারোক্তি। ইমরান খান সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, দেশে কোনো আইন , এমনকি বার্ষিক বাজেট পাস করার জন্য সংসদে যথেষ্ট এমপি পেতে আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন । বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা তর্কাতীতভাবে বিদ্যমান। কারণ দেশের রাজনীতিবিদরা জানেন না কিভাবে বাইরের প্রভাব ছাড়া রাজনীতি পরিচালনা করা যায়। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং বিরোধী উভয়ই বর্তমান অচলাবস্থা মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করার জন্য আইএসআইয়ের সাথে খোলাখুলিভাবে যোগাযোগ করেছে। ২০২৩ সালে প্রবল অর্থনৈতিক চাপের মুখে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল- রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এই সংস্থা দূরে থাকবে নাকি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকবে ? যদি এই সম্পৃক্ততা বজায় থাকে তাহলে আগামী দুই থেকে তিন বছরে বিশৃঙ্খলা ,আন্দোলন এমনকি সহিংসতাও বাড়বে । রাজনৈতিক নেতাদেরও শেখা উচিত কীভাবে একটি শক্তিশালী নির্দেশিকা ছাড়া রাজনীতির বিষয়গুলি পরিচালনা করতে হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত এই টালমাটাল পরিস্থিতি চলতে থাকবে। সূত্র : ডন

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের রাজনীতিকরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান অতীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৬৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা। এই মন্দা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বড়সড় ভাঙন ডেকে আনে। শেষ পর্যন্ত দেশটি ১৯৭৭ এবং ১৯৯৯ সালে সামরিক আইনের দিকে পরিচালিত হতে বাধ্য হয়। সেইসাথে দেখা দেয় নিরাপত্তা সংকট। ১৯৭০ সালে দেশের একাধিক অংশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে । ১৯৭৭ সালে দেশব্যাপী মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় । ২০০৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রায় সারা দেশেই সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংকটের সময় দেশটি মারাত্মকভাবে আঘাত পেয়েছিলো । ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান পতনের পর বীরত্বের সঙ্গে এসব সংকটের অধিকাংশই মোকাবিলা করেছে পাকিস্তান । কিন্তু বর্তমানে দেশের মানুষ যা প্রত্যক্ষ করছে তা হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংকট। পরিবেশগত বিপর্যয় মানুষকে বারবার আঘাত করেছে। ২০২২ সালে পাকিস্তান ভারী বৃষ্টিপাত এবং বিধ্বংসী বন্যার মুখোমুখি হয়। বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি অংশের মানুষ এখনো এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে। কোভিড-১৯ মহামারী দ্বারা সৃষ্ট বিশাল ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের ওপরও পড়েছে ।

এককথায় একাধিক সমস্যায় জর্জরিত দেশটি।
একটি আধুনিক রাষ্ট্রে, সমস্ত সংকট দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের যে সংকট বাকি সব সমস্যাকে ফিকে করে দিয়েছে তা হলো রাজনৈতিক সংকটের আধিপত্য। আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সমস্যাগুলির সমাধান নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে । বর্তমান সংকটকে চরম মাত্রার মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতি দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যদিও পাকিস্তান অতীতে রাজনৈতিক মেরুকরণ দেখেছে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং ১৯৭৭-এর নির্বাচন পরবর্তী সময়ের মতো, বর্তমান ফাটল আগের চেয়ে আরও গভীর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । তবে এই বিভাজনগুলো আর রাজনৈতিক প্রাঙ্গনে সীমাবদ্ধ নেই, যা বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়েছে।

আরোও পড়ুন ।সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গ্রেফতারের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

অনেকে প্রশ্ন করেন যে, দেশে এত রাজনৈতিক অস্থিরতা কেন ? রাজনৈতিক নেতা এবং অন্যান্য প্রভাবশালীরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছুই করছে না কেন? এর উত্তর হলো- ক্ষমতার প্রতি আসক্তি। যে আসক্তিকে রাজনৈতিক নেতারা অস্বীকার করতে পারেন না। তাই একবার ক্ষমতা চলে গেলে তারা অস্থিরতায় ভোগেন, কর্মহীন হয়ে পড়েন। কখনো কখনো হিংস্র হয়ে ওঠেন । এমনকি আত্মহননের পথও বেছে নেন । তারা তাদের অবস্থার মূল্যায়ন করতে অক্ষম। তারা ভিক্ষা চাইতেও দ্বিধাবোধ করে না , কিন্তু এই আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পদ্ধতিগত চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজনবোধ করে না তারা। গত ৭০বছর ধরে পাকিস্তানের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদরা পৃষ্ঠপোষকতায় আসক্ত। সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া তার বিদায়ী ভাষণে একথা স্বীকার করেছেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নন। যখনই তারা তা করার চেষ্টা করেছেন , তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন জুলফিকার আলী ভুট্টো সম্ভবত সবথেকে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করেছিলেন। কারণ তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তখন ঢাকায় পরাজয়ের পরপরই সামরিক বাহিনী সবচেয়ে দুর্বল ছিল। তিনি অনেক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন । পরে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রধানদেরও বরখাস্ত করেন। এর জন্য তাকে ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো হয়েছিল। বেনজির ভুট্টো আপস করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সম্ভবত সেটি যথেষ্ট ছিলো না । নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কর্তৃত্ব জাহির করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বরখাস্ত, কারাবাস, নির্বাসন – সবকিছুই তাকে প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে । ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তার ৪৪ মাসের শাসনামলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একই পথে হেঁটেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইএসআই প্রধানের প্রতি নিজের পছন্দ জাহির করায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়। রাজনীতিবিদরা, সরকারে হোক বা বিরোধী দলে হোক, এই সামরিক হস্তক্ষেপের সাথে পরিচিত। যেকোনো নীতি নির্ধারণের জন্য এবং তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয় ।

আরোও পড়ুন । আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন কবি কাজী জহিরুল ইসলাম

নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের এই নির্ভরশীলতার সাম্প্রতিক প্রমাণ হলো ইমরান খানের একটি স্বীকারোক্তি। ইমরান খান সম্প্রতি স্বীকার করেছেন, দেশে কোনো আইন , এমনকি বার্ষিক বাজেট পাস করার জন্য সংসদে যথেষ্ট এমপি পেতে আইএসআইয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন । বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা তর্কাতীতভাবে বিদ্যমান। কারণ দেশের রাজনীতিবিদরা জানেন না কিভাবে বাইরের প্রভাব ছাড়া রাজনীতি পরিচালনা করা যায়। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং বিরোধী উভয়ই বর্তমান অচলাবস্থা মোকাবিলায় তাদের সাহায্য করার জন্য আইএসআইয়ের সাথে খোলাখুলিভাবে যোগাযোগ করেছে। ২০২৩ সালে প্রবল অর্থনৈতিক চাপের মুখে পাকিস্তানে গণতন্ত্রের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল- রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এই সংস্থা দূরে থাকবে নাকি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকবে ? যদি এই সম্পৃক্ততা বজায় থাকে তাহলে আগামী দুই থেকে তিন বছরে বিশৃঙ্খলা ,আন্দোলন এমনকি সহিংসতাও বাড়বে । রাজনৈতিক নেতাদেরও শেখা উচিত কীভাবে একটি শক্তিশালী নির্দেশিকা ছাড়া রাজনীতির বিষয়গুলি পরিচালনা করতে হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত এই টালমাটাল পরিস্থিতি চলতে থাকবে। সূত্র : ডন

সাথী / হককথা