পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি কে হচ্ছেন?
- প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
- / ৩৮ বার পঠিত
পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। রোববার (১০ মার্চ) দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন তিনি।
এমন অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জনগণের মনে যে প্রশ্নটি সামনে আসছে, সেটি হলো- কে হতে চলেছেন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট হাউসে শপথ অনুষ্ঠানের সময় আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে ছিলেন তার কনিষ্ঠ কন্যা আসিফা ভুট্টো জারদারি।
ফার্স্ট লেডি কে হবেন এই প্রশ্নটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যখন আসিফ আলী জারদারির বড় মেয়ে বখতাওয়ার ভুট্টো জারদারি রোববার একটি টুইটে আসিফাকে ট্যাগ করেন, যেখানে তাকে তার বাবার সাথে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে। টুইটে লেখা ছিল: ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ জারদারির সাথে থাকা থেকে আদালতে তার সকল শুনানির পাশাপাশি জেল থেকে তার মুক্তির জন্য লড়াই এবং এখন পাকিস্তানের ফার্স্ট লেডি হিসাবে তার পাশে রয়েছেন’ এবং শেষে আসিফার নাম যুক্ত করা হয়েছে।
সাধারণত দেশের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী হন ফার্স্ট লেডি। তবে, প্রেসিডেন্ট জারদারি একজন বিপত্নীক। কারণ ২০০৭ সালে জারদারির স্ত্রী বেনজির ভুট্টো আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর জারদারি আর বিয়ে করেননি এবং এই কারণে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিজের প্রথম মেয়াদেও ফার্স্ট লেডির পদটিও ছিল শূন্য। তবে এবারের ব্যাপারটা ভিন্ন। কারণ আসিফা তার বাবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালনের প্রথম মেয়াদে কিশোরী ছিলেন এবং বর্তমানে তার বয়স ৩১ বছর।
৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের সময় আসিফা সক্রিয়ভাবে দলের নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত ছিলেন এবং তাকে তার ভাই বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পক্ষে সমর্থন চাওয়ার জন্য বিভিন্ন সমাবেশে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য দলের প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছিলেন বিলাওয়াল। আরব নিউজের তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর মুলতানে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমাবেশে আসিফা প্রথমবারের মতো রাজনৈতিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
এছাড়া অতীতে ফাতিমা জিন্নাহও তার ভাই কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহের সাথে মাঝে মাঝে দাপ্তরিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন। মূলত মোহাম্মদ আলী জিন্নাহও ছিলেন বিপত্নীক। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে বিপত্নীক প্রেসিডেন্টরা তাদের কন্যা, বোন এবং এমনকি ভাতিজিকেও দেশের ফার্স্ট লেডি হতে বলেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন বিপত্নীক ছিলেন এবং তিনি তার ভাগ্নী এমিলি ডনেলসনকে দেশের ফার্স্ট লেডি হিসাবে কাজ করতে বলেছিলেন। এছাড়া চেস্টার আর্থার এবং গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড নামে অন্য দুই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও তাদের বোনদের ফার্স্ট লেডি হিসাবে কাজ করতে বলেছিলেন। সূত্র : ঢাকা পোষ্ট।