পরিবারকে শিক্ষা দিতে নিজের মৃত্যুর নাটক, অতঃপর
- প্রকাশের সময় : ০৩:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
- / ৩৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরিবারের সদস্যদের থেকে প্রত্যাশিত ব্যবহার না পেয়ে অভিনব উপায় খুঁজে বের করলেন বেলজিয়ামের এক বিখ্যাত টিকটকার। পরিবারের কাছে নিজের গুরুত্ব বুঝাতে ৪৫ বছরের ডেভিড বার্টেন নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোকের রোল পড়ে যায় স্বজনদের মধ্যে। কিন্তু এরপরেও নিজেকে লুকিয়ে রাখেন বার্টেন। তিনি হাজির হন একদম শেষকৃত্যের সময়। হেলিকপ্টারে করে নাটকীয় ভঙ্গীতে হাজির হয়ে চমকে দেন নিজের প্রিয় জনদের। ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে জানানো হয়েছে যে, ডেভিড বার্টেন নামের ওই টিকটকার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাগনার লে ফু নামে পরিচিত। তিনি বলেন, নিজের সন্তান এবং অন্য আত্মীয়দের ব্যবহারে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি।
প্রিয়জনদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার গুরুত্ব কতটা, সে ব্যাপারে শিক্ষা দেয়ার জন্যই নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন বার্টেন। তার পরিকল্পনা মোতাবেক আত্মীয় ও স্বজনদের কাছে পৌছে যায় বার্টেনের মৃত্যুর খবর। এতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। এই প্র্যাঙ্ক যাতে সফল হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি মৃতদেহেরও ব্যবস্থা করেছিলেন ডেভিড। সেটিকে সবাই ডেভিডের দেহ বলেই ধরে নিয়েছিল। শেষকৃত্যের দিন সকলে কালো পোশাক পরে সমাধিস্থলে হাজির হয়েছিলেন। কান্নার রোল উঠেছিল। দেহ সমাহিত করার প্রস্তুতি চলছিল।
ডেভিডের এক মেয়ে ততক্ষণে অ্যাপে শোক বার্তা পোস্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, শান্তিতে থাকো বাবা। আমি সবসময়ই তোমার কথা মনে করব। জীবন এত কঠিন কেন? তোমার সঙ্গেই এরকম হল কেন? তুমি দাদু হতে যাচ্ছিলে, তোমার গোটা জীবন পড়ে ছিল। ঠিক সেই সময় সমাধিস্থলে নেমে আসে একটি হেলিকপ্টার। তার ভিতর থেকে নেমে আসেন খোদ ডেভিড, জীবিত অবস্থায়। প্রথমে সবাই হকচকিয়ে গেলেও পরে ডেভিড পরিজনদের সব কথা বুঝিয়ে বলেন।
তাকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডেভিডের সন্তান এবং অন্যান্য আত্মীয়রা। সকলকেই ডেভিড জানান, কেন তিনি এই প্র্যাঙ্ক করেছিলেন। সকলেই পারিবারিক সম্পর্কগুলি রক্ষা করা, এবং আত্মীয়দের মধ্যে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। ডেভিডকে তারা কথা দেন, এরপর থেকে তার কথা সকলে মেনে চলবেন। যদিও বার্টেন নিজে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফুটেজ আপলোড করেননি। তবে তিনি কেন স্টান্টটি করেছেন তা ব্যাখ্যা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। বার্টেন বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা কখনও কিছুতে তাকে আমন্ত্রণ করতো না। এতে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। তার ভাষায়, কেউ আমাকে দেখে না। আমরা সবাই আলাদা হয়ে গেলাম। এই কারণেই আমি তাদের একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের দেখাতে চেয়েছিলাম যে, কারো সাথে দেখা করার জন্য তার মারা না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়। সূত্র : মানবজমিন
সুমি/হককথা