আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : বিশ্বের অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার প্রাপ্তি নোবেল পুরস্কার। প্রতিবছর পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকজন নিজেদের ঝুলিতে নিয়ে আসেন এ মহাসম্মাননা। উদ্ভাবনী কৌশল এবং সৃজনশীলতার কারিশমায় শ্রমও দিতে হয় অনেক। বিশাল এ প্রাপ্তি একজনের জীবনে ঠিক কতটুকু প্রভাব ফেলে? নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার কারণেই কি আরও পালটে যায় তাদের জীবন? পুরস্কার বিজয়ী সাতজন খ্যাতনামা ব্যক্তি জানিয়েছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা।

২০১৬ সালে অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন অলিভার হার্ট। অর্থনীতিতে ‘চুক্তিতত্ত্বে’ অবদানের জন্য তিনি এ পুরস্কারে সম্মানিত হন। নোবেলের পর জীবন বদলে গিয়েছে এ অর্থনীতিবিদের। তিনি বলেন, ‘জয়ের পর অনেক বেশি মনোযোগ পাচ্ছেন। নোবেলের আগে বহির্বিশ্বে তেমন পরিচিতি ছিল না। এখন তার কাজগুলো আরও বেশি সমাদৃত।’ ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন অমর্ত্য সেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বলতে পারি না যে নোবেল পুরস্কার আমার জীবনকে বড় আকারে বদলে দিয়েছে। ১৯৯৮ সালে নোবেল জয় আমাকে আমার গবেষণায় নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারেনি বা আমার কর্মজীবনে একটি বিশাল প্রভাব ফেলেনি।’ আরেকজন নোবেল জয়ী এরিক এস মাস্কিন। তিনি বলেন, ‘পুরস্কার জেতা কি আমার জীবন পরিবর্তন করেছে? আমি কাজ করেছি, কারণ আমি গবেষণা এবং শিক্ষাকে ভালোবাসি।’ রসায়নে নোবেল জয়ী মার্টিন কারপ্লাস। তিনি বলেন, ‘নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হওয়া অবশ্যই আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে, কিন্তু এটি আমার গবেষণায় নতুন দিকনির্দেশনা আনতে পারেনি।’

রসায়নে আরেক নোবেল বিজয়ী ফ্রাঙ্ক বি বেয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো যে আমাকে শুধু যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জার্মানি নয়, সারা বিশ্বে আমার গবেষণা সম্পর্কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’ এ বিষয়ে কেলিন জুনিয়র নোবেলপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী উলিয়াম জি ক্যালিন বলেছেন, ‘আমি নোবেল বিজয়ীদের গল্প শুনেছি, যারা বলেছিলেন যে পুরস্কার জেতার পর তাদের জীবন বদলে গেছে, কিন্তু আমি আমার কাজের প্রতি মনোযোগী থাকার চেষ্টা করেছি।’ আরও একজন বিজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, ‘২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কার উন্নয়ন অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে বর্ধিত স্বীকৃতি এনেছে তাতে আমি আনন্দিত। সূত্র : যুগান্তর