নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা, ইমরানকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা
- প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
- / ৩২ বার পঠিত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ডেকে ভর্ৎসনা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আর্মি পাবলিক স্কুলে (এপিএস) ২০১৪ সালে হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে চলমান আলোচনার বিষয়ে গতকাল বুধবার (১০ নভেম্বর) ইমরানকে ডেকে ভর্ৎসনা করেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদের নেতৃত্বে বিচারপতি কাজী মোহাম্মদ আমিন আহমেদ ও বিচারপতি ইজাজুল আহসানের সমন্বয়ে গঠিত ৩ সদস্যের বেঞ্চ গতকাল সকাল ১০টার দিকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তলব করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর আদালতে আসেন ইমরান খান।
পেশোয়ারের এপিএস-ওয়ারসাক স্কুলে ২০১৪ সালে টিটিপি অস্ত্রধারীরা হামলা চালালে ১৪৭ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ১৩২ জন শিশু ছিল। সাম্প্রতিক বিক্ষোভের জেরে সমঝোতা প্রক্রিয়া হিসেবে টিটিপির সঙ্গে আলোচনা করছে পাকিস্তান সরকার।
তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী গত সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন, নিষিদ্ধ এই সংগঠনের সঙ্গে একটি ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আদালতে যাওয়ার পর শুনানি শুরু হলে বিচারক কাজী মোহাম্মদ আমিন আহমেদ স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তান কোনো ছোট দেশ নয়। আমাদের রয়েছে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন ফের আলোচনার টেবিলে ডাকা হলো?
বিচারক এসময় ইমরানকে প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কি তাহলে আরও একবার আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছি?’
তিন সদস্যের বেঞ্চ প্রধানমন্ত্রীকে নানা প্রশ্নে জর্জরিত করেন। এক পর্যায়ে শুনানির জন্য তলব করা হয়েছে জানিয়ে ইমরান খানের পক্ষ থেকে বক্তব্যের সুযোগ চাইলেও বিচারকরা তাকে প্রশ্ন করতে থাকেন।
প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ বলেন, ‘আপনি ক্ষমতায় আছেন, সরকারও আপনার। আপনি কী করলেন? দোষীদের আলোচনার টেবিলে এনেছেন আপনি।’
বিচারপতি ইজাজুল আহসান প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, যারা এপিএস হামলায় তাদের সন্তানদের হারিয়েছেন সেই অভিভাবকদের সন্তুষ্ট করা প্রয়োজন।
এ ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ইমরান খানের কাছে তা জানতে চান আদালত।