আন্তর্জাতিক বাজারে আবারো কমেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। এ নিয়ে টানা চার কার্যদিবসে জ্বালানিটির দাম কমল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ চীনে নতুন করে কভিড-১৯ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে পণ্যটির চাহিদা আরো কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সুদের হার আবারো বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। সুদের হার বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমবে।
গতকাল আইসিই ফিউচারসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৯২ ডলার ২৪ সেন্টে। অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৫ ডলার ৩৫ সেন্টে। এ সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম ৬ শতাংশেরও বেশি কমেছে। আর ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) আগামী বছরের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চাহিদা কমার প্রতিফলন হিসেবে ওপেক প্লাস এরই মধ্যে উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ সম্প্রসারণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে।
ইআইএ ২০২৩ সালের জন্য জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দৈনিক ৩ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কমিয়েছে। চাহিদার পরিমাণ ধরা হয়েছে দৈনিক ১১ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। চলতি বছর চাহিদা প্রবৃদ্ধির হার দৈনিক ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল। মোট চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে দৈনিক ২৬ লাখ ব্যারেলে। শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইআইএ মনে করছে, আগামী বছরের শুরুতেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মজুদ আবারো ব্যাপক হারে কমতে শুরু করবে। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মজুদে প্রবৃদ্ধির হার ছিল দৈনিক আট লাখ ব্যারেল। চলতি প্রান্তিকে তা দৈনিক দুই লাখ ব্যারেলে নেমেছে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে মজুদ দৈনিক ১২ লাখ ব্যারেল করে কমবে বলে ধারণা ইআইএর। বছরজুড়ে গড়ে দৈনিক তিন লাখ ব্যারেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।