নিউইয়র্ক ০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিজের আসনে জামানত হারালেন মাহাথির, রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাল দল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
  • / ২৯ বার পঠিত

নিজের নির্বাচনী আসনেই হারলেন মালয়েশিয়ার দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। শনিবার (১৯ নভেম্বর) ল্যাংকাউইয়ের বাসিন্দারা পেরিকটান ন্যাশনাল (পিএন) দলকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। মাহাথির ভোট পেয়েছেন মাত্র সাড়ে ৪ হাজার!১৯৬৯ সালের পর মালয়েশিয়ার সংসদ নির্বাচনে এই প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলেন ৯৭ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ।

শনিবার লাংকাউই আসনটিতে পিএন থেকে দাতুক সুহাইমি আবদুল্লাহ ২৫ হাজার ৪৬৩ বা ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

মাহাথির পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৫৬৬ বা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে জামানত রক্ষার জন্য ন্যূনতম ভোট পেতে হয় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ওই আসনে বারিসান ন্যাশনালের (বিএন) আরমিশাহ সিরাজ ১১ হাজার ৯৪৫ ভোট বা বৈধ ভোটের ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

যেখানে মাহাথির ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩৪ হাজার ৫২৭ বৈধ ভোটের ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ পেয়ে জিতেছিলেন। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনের প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

১৯৮৭ সালে যখন মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন দ্বীপটিকে একটি ট্যাক্স হেভেন (কর-মুক্ত স্বর্গ) ঘোষণা করে ব্যাপক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুযোগ করে দেন। এই উদ্যোগের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন তিনি। এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ফেরি পরিষেবা এবং বিলাসবহুল হোটেলসহ পর্যটন বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে এই দ্বীপ।

মাহাথিরের পরাজয়ের কারণে তাঁর দল পেজুয়াং তানাহ এয়ার (পেজুয়াং) কেদাহ রাজ্যে একটি বড় ধাক্কা খেল। ১২১টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল দলটি। জিতেছে মাত্র ১৩টি আসনে। মাহাথির নিজের রাজ্য কেদাহর মধ্যেই পড়ে ল্যাংকাউই সংসদীয় আসন।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকারের দুর্নীতি পরিচ্ছন্ন করে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। কিন্তু ভোটারেরা তাঁর কথায় আস্থা রাখেননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জাতীয় ঋণ রেখে গেছেন। সেই খাদ থেকে উদ্ধারের জোরালো প্রতিশ্রুতিতেও কাজ হলো না!

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে জোট নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে সরকারের নেতৃত্ব হস্তান্তর করেননি মাহাথির মোহাম্মদ। এ নিয়েও বহু ভোটার মাহাথিরের ওপর অসন্তুষ্ট। ফলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একেবারে অন্তিমে এসে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো তাঁকে!

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিজের আসনে জামানত হারালেন মাহাথির, রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাল দল

প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

নিজের নির্বাচনী আসনেই হারলেন মালয়েশিয়ার দীর্ঘতম প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। শনিবার (১৯ নভেম্বর) ল্যাংকাউইয়ের বাসিন্দারা পেরিকটান ন্যাশনাল (পিএন) দলকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। মাহাথির ভোট পেয়েছেন মাত্র সাড়ে ৪ হাজার!১৯৬৯ সালের পর মালয়েশিয়ার সংসদ নির্বাচনে এই প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলেন ৯৭ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ।

শনিবার লাংকাউই আসনটিতে পিএন থেকে দাতুক সুহাইমি আবদুল্লাহ ২৫ হাজার ৪৬৩ বা ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

মাহাথির পেয়েছেন মাত্র ৪ হাজার ৫৬৬ বা ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে জামানত রক্ষার জন্য ন্যূনতম ভোট পেতে হয় ১২ দশমিক ৫ শতাংশ।

ওই আসনে বারিসান ন্যাশনালের (বিএন) আরমিশাহ সিরাজ ১১ হাজার ৯৪৫ ভোট বা বৈধ ভোটের ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

যেখানে মাহাথির ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩৪ হাজার ৫২৭ বৈধ ভোটের ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ পেয়ে জিতেছিলেন। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনের প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৯ দশমিক ১ শতাংশ।

১৯৮৭ সালে যখন মাহাথির মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন দ্বীপটিকে একটি ট্যাক্স হেভেন (কর-মুক্ত স্বর্গ) ঘোষণা করে ব্যাপক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের সুযোগ করে দেন। এই উদ্যোগের জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠেন তিনি। এই পদক্ষেপের ফলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ফেরি পরিষেবা এবং বিলাসবহুল হোটেলসহ পর্যটন বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে এই দ্বীপ।

মাহাথিরের পরাজয়ের কারণে তাঁর দল পেজুয়াং তানাহ এয়ার (পেজুয়াং) কেদাহ রাজ্যে একটি বড় ধাক্কা খেল। ১২১টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল দলটি। জিতেছে মাত্র ১৩টি আসনে। মাহাথির নিজের রাজ্য কেদাহর মধ্যেই পড়ে ল্যাংকাউই সংসদীয় আসন।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকারের দুর্নীতি পরিচ্ছন্ন করে বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। কিন্তু ভোটারেরা তাঁর কথায় আস্থা রাখেননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ১২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার জাতীয় ঋণ রেখে গেছেন। সেই খাদ থেকে উদ্ধারের জোরালো প্রতিশ্রুতিতেও কাজ হলো না!

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করে জোট নেতা আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে সরকারের নেতৃত্ব হস্তান্তর করেননি মাহাথির মোহাম্মদ। এ নিয়েও বহু ভোটার মাহাথিরের ওপর অসন্তুষ্ট। ফলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের একেবারে অন্তিমে এসে পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো তাঁকে!