নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন উন্মোচন করলো তাইওয়ান
- প্রকাশের সময় : ০৮:৪১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫০ বার পঠিত
হককথা ডেস্ক : নিজেদের তৈরি প্রথম সাবমেরিন উন্মোচন করেছে তাইওয়ান। বৃহস্পতিবার কাওশিউং বন্দর নগরীতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। চীনের সম্ভাব্য আক্রমণের বিরুদ্ধে এই উদ্ভাবন স্বশাসিত দ্বীপটির প্রতিরক্ষা জোরদার করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তাইওয়ানে সামরিক আক্রমণ পরিচালনায় সক্ষম হয়ে উঠতে পারে চীন।
তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপ। চীন দ্বীপটিকে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ হিসেবে মনে করে এবং পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে।
বেশিরভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, চীন খুব শিগগিরই আক্রমণ করবে না। বেইজিং তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ একীভূতকরণ চাইছে। একই সময়ে তাইওয়ানকে স্বাধীনতা ঘোষণা করা ও বিদেশিদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে হুঁশিয়ারি জানিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়ার মাধ্যমে তাইপের ওপর চাপ বাড়িয়ে আসছে বেইজিং।
সাবমেরিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সাই বলেছেন, ইতিহাস চিরদিন এই দিনের কথা মনে রাখবে। অতীতে দেশে সাবমেরিন তৈরি অসম্ভব মনে করা হতো। কিন্তু আমরা তা করে দেখিয়েছি।
সামরিক কর্মকর্তাদের মতে, ডিজেল চালিত সাবমেরিনটিকে নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার আগে বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে। ১৫৪ কোটি ডলারে নির্মিত এই ডুবোযান ২০২৪ সালের শেষ দিকে নৌবাহিনীতে মোতায়েন করা হতে পারে।
উড়তে সক্ষম একটি পৌরাণিক মাছের নাম অনুসারে এই সাবমেরিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘হাইকুন’। চীনা সাহিত্যে এই মাছের উল্লেখ রয়েছে।
আরেকটি সাবমেরিন বর্তমানে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তাইওয়ানের লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর পরিচালনা করা। এর মধ্যে দুটি পুরনো ডাচ-নির্মিত নৌযান রয়েছে, যা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত।