নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার তদন্ত শুরু
- প্রকাশের সময় : ০৭:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪২ বার পঠিত
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ সশস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫১জন। এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় চার বছর। অবশেষে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চ হামলার তদন্ত শুরু হয়েছে দেশটিতে। তদন্তের শুরুতেই দেখানো হয় নিহতদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও।
ছয় সপ্তাহব্যাপী এই তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি চিফ করোনার ব্রিগিটে উইন্ডলি। সেদিন কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নজর দেওয়া হবে জরুরি পরিষেবার তৎপরতা, মসজিদের ইমারজেন্সি এক্সিটের কার্যকারিতার দিকেও। রেডিও নিউজিল্যান্ডকে ব্রিগিটে উইন্ডলি জানান যে এই তদন্ত ‘মৃত্যুর কারণ ও অবস্থার’ দিকে আলোকপাত করবে। পাশাপাশি, ‘ভবিষ্যতে এভাবে প্রাণনাশের ঝুঁকি’ কীভাবে কমানো যায়, সেবিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন করার পরামর্শ দেবে।
তদন্তের লক্ষ্য
উইন্ডলি জানান, এই তদন্তের মূল উদ্দেশ্য ফাঁক খোঁজা নয়, বরং এই তদন্ত চিহ্নিত করবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের, যাদের এই ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি হয়ে থাকতে পারে।
পাঁচ হাজারের বেশি ছবি, তিন হাজারের বেশি অডিও, ৮০ ঘণ্টার বেশি সময়ের ভিডিও খুঁটিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা। আগামী ছয় সপ্তাহ ধরে প্রায় ছয়শ মানুষ শুনবেন এই তদন্তের কাজ। আল নূর মসজিদ ও লিনউড ইসলামিক সেন্টারে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট সেমি অটোমেটিক অস্ত্র হাতে যখন হামলা করে, সেই ঘটনা সরাসরি ইন্টারনেটে সম্প্রচারও করে সে। হামলার আগে তার চিন্তাধারা বিষয়ে একটি ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল সে।
৫১ খুন, ৪০ খুনের চেষ্টা ও একটি সন্ত্রাসবাদের ধারার সকল অভিযোগ মেনে নেওয়ার পর ২০২০ সালের আগস্ট মাসে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
টারান্টকে কেউ বাইরে থেকে সাহায্য করেছে কি না, তাও তদন্তের অংশ হবে বলে জানা গেছে। যা বলছে নিহতদের পরিবার
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সংস্থা ‘১৫ মার্চ হোয়ানাউ ট্রাস্ট’। তার মুখপাত্র মাহা গালাল জানান যে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত ‘সত্যকে খুঁজে বের করে আনা’।তিনি বলেন যে, তাদের প্রিয়জনদের বেঁচে থাকার কোনো উপায় ছিল কি না, সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত হোক, এ বিষয়ে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা একমত। এই তদন্ত সেদিনের ঘটনাবলী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপকে খতিয়ে দেখলেও নতুন করে ক্ষতিপূরণ বা জরিমানার সম্ভাবনা নেই।
ক্রাইস্টচার্চ শহরের ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডে বন্দুক বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, ক্রাইস্টচার্চ কল নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয় যার কাজ অনলাইনে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দিকে নজর রাখা। তথ্য সূত্র : ডয়চে ভেলে