দুর্দশায় পাকিস্তান, যা পরামর্শ দিলো আইএমএফ

- প্রকাশের সময় : ১২:২১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬৪ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা পাকিস্তানকে ধনীদের কাছ থেকে কর নেওয়ার এবং সেই করের সুবিধা দরিদ্রদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সময় জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। ক্রিস্টালিনা বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণের জন্য আমার হৃদয় মমতায় ভরে গেছে। তারা বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল যা দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে প্রভাবিত করেছিল। আমরা আশা করি, পাকিস্তান তার অবস্থান শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বোল্ডে দুইটি জিনিস উল্লেখ করতে চাই। প্রথমত, কর আদায়ের বিষয়টি। যারা আর্থিকভাবে ভালো আয় করছেন, তাদের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ন্যায্যভাবে কর দিতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, এই ট্যাক্সের সঠিক বণ্টন। এই করের অর্থ সুবিধার আকারে দেশের নিম্নবিত্ত যারা অভাবী তাদের মধ্যে বিতরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরোও পড়ুন। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে কিয়েভ যাচ্ছেন মেলোনি
পাকিস্তানের দরিদ্র জনগণের পক্ষে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এই ট্যাক্স ধনীদের দেওয়া উচিত নয়, গরিবদের সুবিধা দেওয়া উচিত। আইএমএফ প্রধানের একটি বিবৃতি অনুসারে, এই মাসের শুরুতে, একটি সফরকারী আইএমএফ প্রতিনিধি দল ১০ দিনের সফরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন।

কিন্তু দুই পক্ষ কোনো সমাধানে পৌঁছাতে না পারায় সফরকারী প্রতিনিধি দল ইসলামাবাদ ত্যাগ করে। তবে আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় তিন বিলিয়নে নেমে এসেছে, যা মাত্র তিন সপ্তাহের আমদানি মূল্য। আইএমএফ এর আগে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয় পক্ষ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং ইসলামাবাদে আলোচনা করা ট্যাক্স ব্যবস্থাসহ নীতিগুলোর বাস্তবায়নের বিশদ চূড়ান্ত করার জন্য আগামী দিনে ভার্চুয়াল আলোচনা অব্যাহত থাকবে। সরকার ট্যাক্স ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তি স্ট্রাইক করার জন্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদে ২০২৩ সালের অর্থ বিল পেশ করেছেন। বিলে আইএমএফের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পূর্ববর্তী পদক্ষেপগুলো পূরণের জন্য পরবর্তী সাড়ে চার মাসে অতিরিক্ত ১৭০ বিলিয়ন রুপি সংগ্রহ করার জন্য একটি কর ব্যবস্থার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ পাকিস্তানকে চুক্তির সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের জন্য ১ মার্চের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১৫ বিলিয়ন টাকার কর ব্যবস্থার সিংহভাগ সংবিধিবদ্ধ আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে। সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক
হককথা/সুমি