দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয় বন্ধ করে দিল টুইটার, কারণ কি?
- প্রকাশের সময় : ০১:২৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪২ বার পঠিত
ভারতে টুইটারের দুই কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে কর্মরতদের বলা হয়েছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে। মাইক্রোব্লগিং সাইটটির নতুন মালিক ইলন মাস্ক চাচ্ছেন, যেভাবেই হোক টুইটার পরিচালনার খরচ কমাতে হবে। তারই অংশ হিসেবে ভারতের দুই কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। দেশটিতে টুইটারের আরও একটি কার্যালয় রয়েছে, যেটি যথারীতি চালু থাকবে। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি। খবরে জানানো হয়েছে, গত বছর ভারতীয় কার্যালয়গুলো তাদের ৯০ শতাংশ কর্মীকেই ছাঁটাই করেছে। এবার মুম্বাই ও নয়া দিল্লির অফিসও বন্ধ করে দেয়া হলো। বেঙালুরুতে থাকা দক্ষিণাঞ্চলীয় অফিস যদিও চালু রয়েছে। বিশ্বজুড়ে মন্দার ছাপ পড়েছে ছোট বড় বহু কোম্পানির উপরেই। তবে ইলন মাস্ক টুইটারকে লাভজনক করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।
ছাঁটাই করা কর্মীদেরও তিনি অপ্রয়োজনীয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টুইটারে শুরু হয় গণছাঁটাই। এমনকী রোষের মুখে পড়েন টুইটারের তৎকালীন সিইও পরাগ আগরওয়ালও। সংস্থা থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকেও। পলিসিগত বদলের কারণে ইতিমধ্যেই বহু বিজ্ঞাপনদাতাকে হারিয়েছে টুইটার। সংস্থার খরচ টানতে নিলামে তুলতে হয়েছে সানফ্রান্সিসকো হেড কোয়ার্টারের একাধিক আসবাব, কফি মেশিনও। বেচে দিতে হয়েছে সংস্থার লোগো স্থাপত্যটি। তাতেও মেটানো যাচ্ছে না সংস্থার হেডকোয়ার্টারের ভাড়া।
শুধু ভারতেই নয়, বিভিন্ন দেশেই সংস্থার অফিসগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যদিও ইলন বলছেন, দ্রুতই সব সংকট কাটিয়ে উঠবে টুইটার। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ এখানে। ভারতে ফেসবুক তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয় হলেও টুইটারও পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির টুইটারে প্রায় ৮৭ মিলিয়ন ফলোয়ার আছে। এত ব্যবহারকারী থাকা সত্ত্বেও ভারত থেকে আশা অনুযায়ী আয় করতে পাড়ছে না টুইটার।