নিউইয়র্ক ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বললো ইউনিসেফ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৭৭ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বলেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলে ৪০ কোটির বেশি শিশুর লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার আল জাজিরা এ খবর জানায়।

ইউনিসেফের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব কয়েক দশক ধরে থাকতে পারে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে স্কুল প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ ছিল, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় বন্ধ থাকার ঘটনাগুলোর একটি।

এ ক্ষেত্রে গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে স্কুল বন্ধের হার ছিল গড়ে ৩১ দশমিক ৫ সপ্তাহ।

ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারইয়ে-আদজেই বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা (স্কুল বন্ধ থাকা) এমন একটা অঞ্চলে ঘটেছে যেখানে দূর থেকে পড়ালেখার (ভার্চুয়াল উপায়ে) ব্যবস্থা তেমন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ও ডিভাইসের সুবিধা এখানে খুবই অসম। যে কারণে আমরা লেখাপড়া শেখার বিষয়ে চরম ঘাটতি লক্ষ্য করেছি; বিশেষ করে, দরিদ্র জনগোষ্ঠি ও মেয়েদের ক্ষেত্রে। কারণ, প্রায়ই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের ওপর আস্থা রাখা হয় বেশি।’

এ সময়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হারও বেড়েছে। এর খারাপ প্রভাব নিয়েও কথা বলেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাটি।

তারা বলছে, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা অবসাদ, খারাপ মানসিক স্বাস্থ্য ও সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আর মেয়েরা বাল্যবিয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বললো ইউনিসেফ

প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বলেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এ অঞ্চলে ৪০ কোটির বেশি শিশুর লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার আল জাজিরা এ খবর জানায়।

ইউনিসেফের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, স্কুল বন্ধ থাকার প্রভাব কয়েক দশক ধরে থাকতে পারে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে স্কুল প্রায় ১৮ মাস ধরে বন্ধ ছিল, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় বন্ধ থাকার ঘটনাগুলোর একটি।

এ ক্ষেত্রে গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতে স্কুল বন্ধের হার ছিল গড়ে ৩১ দশমিক ৫ সপ্তাহ।

ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক জর্জ লারইয়ে-আদজেই বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এটা (স্কুল বন্ধ থাকা) এমন একটা অঞ্চলে ঘটেছে যেখানে দূর থেকে পড়ালেখার (ভার্চুয়াল উপায়ে) ব্যবস্থা তেমন ভালো না।’

তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট ও ডিভাইসের সুবিধা এখানে খুবই অসম। যে কারণে আমরা লেখাপড়া শেখার বিষয়ে চরম ঘাটতি লক্ষ্য করেছি; বিশেষ করে, দরিদ্র জনগোষ্ঠি ও মেয়েদের ক্ষেত্রে। কারণ, প্রায়ই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের ওপর আস্থা রাখা হয় বেশি।’

এ সময়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হারও বেড়েছে। এর খারাপ প্রভাব নিয়েও কথা বলেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থাটি।

তারা বলছে, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা অবসাদ, খারাপ মানসিক স্বাস্থ্য ও সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আর মেয়েরা বাল্যবিয়ের উচ্চ ঝুঁকিতে পড়েছে।