নিউইয়র্ক ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

থমথমে শ্রীলঙ্কা, অনিশ্চিত প্রতিটি মুহূর্ত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • / ১০৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশজুড়ে গতকাল বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছিলেন। কারফিউ উঠে গেলেও দেশজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে বিক্ষোভকারী তাদের দাবি আদায়ে অনড়, আরেকদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ প্রতিরোধে যা যা করা দরকার তা তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে মনে করেছেন যে, দেশটির জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
এর আগে, গতকাল বুধবার সকালে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা জারি করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যাওয়ার খবরেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়নি। উল্টো বিক্ষোভের মাত্রা চরম আকার নিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বুধবার জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা আসে।
গত ৯ জুলাই জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার নিকটস্থ এক কর্মকর্তার তথ্যমতে গতকাল বুধবার গোতাবায়ার পদত্যাগ করার কথা ছিলো। তবে তার পদত্যাগ এখনো আনুষ্ঠানিক রূপ পায়নি।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের মুখে এর আগে সরে যেতে হয়েছিল দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে। জনদাবির মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের গদি আঁকড়ে ছিলেন গোতাবায়া।
এমন পরিস্থিতিতেই জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্যসংকট চরমে পৌঁছায়। ফলে ফের পথে নামে মানুষ। গত শনিবার (৯ জুলাই) বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে জড়ো হয় শহরটিতে। সরকারবিরোধী র‍্যালি ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগে সম্মতির বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও প্রধানমন্ত্রী রনিলের কথায় আস্থা পাচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের আগে তারা এই দুই নেতার বাসভবনের দখল ছাড়বে না।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

থমথমে শ্রীলঙ্কা, অনিশ্চিত প্রতিটি মুহূর্ত

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশজুড়ে গতকাল বুধবার (১৩ জুলাই) রাত ১২টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছিলেন। কারফিউ উঠে গেলেও দেশজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একদিকে বিক্ষোভকারী তাদের দাবি আদায়ে অনড়, আরেকদিকে রনিল বিক্রমাসিংহে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভ প্রতিরোধে যা যা করা দরকার তা তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে মনে করেছেন যে, দেশটির জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
এর আগে, গতকাল বুধবার সকালে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা জারি করেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যাওয়ার খবরেও বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়নি। উল্টো বিক্ষোভের মাত্রা চরম আকার নিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বুধবার জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা আসে।
গত ৯ জুলাই জনতার প্রবল বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার নিকটস্থ এক কর্মকর্তার তথ্যমতে গতকাল বুধবার গোতাবায়ার পদত্যাগ করার কথা ছিলো। তবে তার পদত্যাগ এখনো আনুষ্ঠানিক রূপ পায়নি।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভের মুখে এর আগে সরে যেতে হয়েছিল দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী এবং গোতাবায়া রাজাপাকসের ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসেকে। জনদাবির মুখে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের গদি আঁকড়ে ছিলেন গোতাবায়া।
এমন পরিস্থিতিতেই জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খাদ্যসংকট চরমে পৌঁছায়। ফলে ফের পথে নামে মানুষ। গত শনিবার (৯ জুলাই) বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো। সারা দেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা এসে জড়ো হয় শহরটিতে। সরকারবিরোধী র‍্যালি ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়ে তারা। চলমান অচলাবস্থার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া পদত্যাগে সম্মতির বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও প্রধানমন্ত্রী রনিলের কথায় আস্থা পাচ্ছেন না বিক্ষোভকারীরা। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের আগে তারা এই দুই নেতার বাসভবনের দখল ছাড়বে না।
হককথা/এমউএ