নিউইয়র্ক ১১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তুরস্কে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ শিশুকে জীবিত উদ্ধার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ২৬ বার পঠিত

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার চল্লিশ ঘণ্টা পর দেড় বছরের যমজ ভাইবোনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মা-বাবাকেও এই সময় উদ্ধার করা হয়। যমজ শিশুর মধ্যে প্রথমে ছেলে আহমেত এরবেকে গাজিয়ানটেপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে তুরস্কের যে দশটি প্রদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে গাজিয়ানটেপ অন্যতম।
বিশেষ অভিযান পুলিশ দল উদ্ধার অভিযানের ভিডিও ধারণ করেছে। এসময় উদ্ধারকারীরা চিৎকার করে বলছিল ‘একটি অলৌকিক ঘটনা আসছে’। শিশুটিকে তারা কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে মেডিকেল টিমের কাছে পাঠায়।

এরবায়ের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করার পরে বাচ্চাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এরপর উদ্ধারকারী দল যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলির কাছে পৌঁছেছিল। তাদেরকেও উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা বলেছেন, সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ১০টি প্রদেশে প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে বেশি প্রাণহানি হয়েছে তুরস্কে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৯৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৯৩২ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্রঃ ঢাকা মেইল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তুরস্কে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ শিশুকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১২:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার চল্লিশ ঘণ্টা পর দেড় বছরের যমজ ভাইবোনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মা-বাবাকেও এই সময় উদ্ধার করা হয়। যমজ শিশুর মধ্যে প্রথমে ছেলে আহমেত এরবেকে গাজিয়ানটেপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে তুরস্কের যে দশটি প্রদেশ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে গাজিয়ানটেপ অন্যতম।
বিশেষ অভিযান পুলিশ দল উদ্ধার অভিযানের ভিডিও ধারণ করেছে। এসময় উদ্ধারকারীরা চিৎকার করে বলছিল ‘একটি অলৌকিক ঘটনা আসছে’। শিশুটিকে তারা কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে মেডিকেল টিমের কাছে পাঠায়।

এরবায়ের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করার পরে বাচ্চাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এরপর উদ্ধারকারী দল যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলির কাছে পৌঁছেছিল। তাদেরকেও উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা বলেছেন, সোমবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ১০টি প্রদেশে প্রায় ৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার ছুঁইছুঁই। এর মধ্যে বেশি প্রাণহানি হয়েছে তুরস্কে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৯৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। আর সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৯৩২ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন নিহত মানুষের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। ভূমিকম্পের পরে শতাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্রঃ ঢাকা মেইল