তালেবানদের নারী নির্যাতন ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’: জাতিসংঘ

- প্রকাশের সময় : ০২:৩৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
- / ১১৬ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাতিসংঘ বিশ্বাস করে, আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীর দ্বারা নারী ও মেয়েদের নিপীড়ন মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে। সোমবার (৬ মার্চ) জেনেভা মানবাধিকার কাউন্সিলে পেশ করা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনটি জুলাই থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সময়কালে তৈরি করা হয়েছিল। আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক রিচার্ড বেনেট। এতে দেখা গেছে, নারী ও মেয়েদের প্রতি তালেবানের আচরণ লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য বা নিপীড়নের সমান, যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
আরোও পড়ুন। নারীদের উচ্চশিক্ষা বন্ধ; তালেবানকে যে হুমকি দিল যুক্তরাষ্ট্র
বেনেট জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে জানিয়েছেন, তালেবানের ইচ্ছাকৃত ও গণনা করা নীতিগুলো নারী ও মেয়েদের মানবাধিকারকে প্রত্যাখ্যান করছে। তারা জনজীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। তালেবানের এই নীতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লিঙ্গ বৈষম্যের অপরাধ বলা যেতে পারে, যার কারণে তালেবান কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যেতে পারে। তিনি জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের উচিত তালেবানকে একটি কড়া বার্তা পাঠানো এই বলে যে নারী ও মেয়েদের প্রতি তাদের ভয়ঙ্কর আচরণ ধর্মসহ যেকোনো ভিত্তিতে অন্যায় ও অসহনীয়। নারীদের উপর এই ধরনের কঠোরতা সমগ্র জনসংখ্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ও বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনবে।
২০২১ সালে কাবুলে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার ব্যাপকভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা উচ্চ বিদ্যালয় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারে না। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ নারী সরকারি কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। তালেবান নারীদের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। দেশের যে কোনো জায়গায় গেলেও স্বামী, ছেলে বা কোনো পুরুষ আত্মীয়ের সঙ্গে বাইরে যাওয়া বাধ্যতামূলক। সাম্প্রতিক একটি নির্দেশনায় তালেবান নারীদের পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র এমনকি ঘরবাড়ি থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করেছে।
সুমি/হককথা