ট্রেন দুর্ঘটনায় অস্থায়ী মর্গ বানানো ওড়িশার স্কুলে চলল বুলডোজার
- প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ওড়িশায় করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃতদের যে অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল, সেই স্কুলবাড়িই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শনিবার। সেখানে নতুন করে স্কুল গড়ার কথা ভাবছে ওড়িশা সরকার। গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার পর বাহানগা বাজার হাই স্কুলকে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাদা কাপড়ে মোড়া সারি সারি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় ওই স্কুলে। কিন্তু সেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না। তাই সেখান থেকে ভুবনেশ্বরের মোট চারটি হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার পরই স্কুলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল ভাঙার কাজ শুরু হয়।
রাতেই স্কুলঘরের চালের টিন খুলে নেওয়া হয়। শনিবার পুরো স্কুলবাড়িই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের প্রস্তাব মেনেই নতুন করে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। ওড়িশা সরকার ওই স্থানে একটি মডেল স্কুল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।
আরোও পড়ুন । ভয়াবহ গতি নিয়ে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, তীব্র হবে আরও
বাহানগা হাই স্কুলে শনাক্ত না হওয়া অনেক দেহ ছিল। সেখান থেকে দেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ‘নর্থ ওড়িশা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বিজনেস পার্কের’ অস্থায়ী মর্গে। স্কুল চত্বরে দুর্গন্ধ বেরোনোয় স্কুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ছাড়াও স্যানিটাইজ করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরও ওই স্কুলে আর ছেলেমেয়েদের পাঠাবেন না বলে জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা।
বালেশ্বরের জেলা প্রশাসক ওই স্কুলে গিয়েছিলেন।
নিজে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভয় না দেখানোর বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও অভিভাবকরা রাজি হননি। এরপর স্কুলবাড়িটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার কথা ভাবে প্রশাসন। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এই স্কুলটিতে। বর্তমানে সেখানকার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৬৫ জন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
বেলী/হককথা