নিউইয়র্ক ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জার্মানি কখনোই ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না : শলৎস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২০৬ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  জার্মানি ইউক্রেন সংঘাতে জড়াবে না, তবে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। বার্লিন কিয়েভে দূরপাল্লার টরাস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এই মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। শুক্রবার জার্মানির অগসবগা আইগামাইনা সংবাদপত্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শলৎসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল জার্মানির সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, তার লক্ষ্য এটি প্রতিরোধ করা এবং এই কারণেই ইউক্রেনে কোন জার্মান সৈন্য নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।

চ্যান্সেলর বলেন, তবে বার্লিন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হয়েছে। শলৎসের মতে, পশ্চিমারা চায় না সংঘাতটি রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যকার যুদ্ধে পরিণত হোক। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের আইনপ্রণেতা এগর চেরনেভ বলেছিলেন, তার অনেক জার্মান সহকর্মী কিয়েভকে টরাস ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের পক্ষে ছিলেন, যার পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।

চেরনেভ দাবি করেছেন, এই বিষয়ে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলো বিস্তৃত ঐকমত্য পৌঁছেছে এবং ইউক্রেন এখন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। জার্মানির আরটিএল এবং এন-টিভি একটি জরিপ অনুসারে, ৬৬ শতাংশ জার্মান এই ধারণার বিপক্ষে এবং মাত্র ২৮ শতাংশ পক্ষে।

ইউক্রেন অন্তত মে মাসের শেষের দিক থেকে জার্মানির কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনুরোধ করে আসছে, যদিও শলৎস এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অনুরোধগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। জানুয়ারির শেষের দিকে অনুমতি দেওয়ার পর জার্মান নেতৃত্ব অবশ্য কয়েক মাস ধরে লেপার্ড যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ডেলিভারি নিয়ে দ্বিধায় পড়েছিল।

ইউক্রেনের গ্রীষ্মকালীন পাল্টা আক্রমণ প্রাথমিক প্রত্যাশার তুলনায় কম। কিয়েভ এবং পশ্চিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো যতদিন সময় লাগে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে। রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়ে তারা শুধু সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে। পাশাপাশি ন্যাটো এবং মস্কোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জার্মানি কখনোই ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না : শলৎস

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  জার্মানি ইউক্রেন সংঘাতে জড়াবে না, তবে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। বার্লিন কিয়েভে দূরপাল্লার টরাস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এই মন্তব্য করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। শুক্রবার জার্মানির অগসবগা আইগামাইনা সংবাদপত্র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শলৎসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল জার্মানির সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে জড়িত হওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, তার লক্ষ্য এটি প্রতিরোধ করা এবং এই কারণেই ইউক্রেনে কোন জার্মান সৈন্য নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না।

চ্যান্সেলর বলেন, তবে বার্লিন ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে। এ বিষয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া হয়েছে। শলৎসের মতে, পশ্চিমারা চায় না সংঘাতটি রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যকার যুদ্ধে পরিণত হোক। চলতি মাসের শুরুতে ইউক্রেনের আইনপ্রণেতা এগর চেরনেভ বলেছিলেন, তার অনেক জার্মান সহকর্মী কিয়েভকে টরাস ক্ষেপণাস্ত্র প্রদানের পক্ষে ছিলেন, যার পাল্লা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার।

চেরনেভ দাবি করেছেন, এই বিষয়ে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলো বিস্তৃত ঐকমত্য পৌঁছেছে এবং ইউক্রেন এখন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। জার্মানির আরটিএল এবং এন-টিভি একটি জরিপ অনুসারে, ৬৬ শতাংশ জার্মান এই ধারণার বিপক্ষে এবং মাত্র ২৮ শতাংশ পক্ষে।

ইউক্রেন অন্তত মে মাসের শেষের দিক থেকে জার্মানির কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনুরোধ করে আসছে, যদিও শলৎস এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াসসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত অনুরোধগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন। জানুয়ারির শেষের দিকে অনুমতি দেওয়ার পর জার্মান নেতৃত্ব অবশ্য কয়েক মাস ধরে লেপার্ড যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ডেলিভারি নিয়ে দ্বিধায় পড়েছিল।

ইউক্রেনের গ্রীষ্মকালীন পাল্টা আক্রমণ প্রাথমিক প্রত্যাশার তুলনায় কম। কিয়েভ এবং পশ্চিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলো যতদিন সময় লাগে ততদিন ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে। রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়ে তারা শুধু সংঘাতকে দীর্ঘায়িত করছে। পাশাপাশি ন্যাটো এবং মস্কোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা