নিউইয়র্ক ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জলবিদ্যুতে বাম্পার মুনাফা, দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ল ভুটান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ৬০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিমালয় পবর্তমালা বেষ্টিত দেশ ভুটান চলতি বছরই জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে। কাতারে চলমান জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। ভূটানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও সূচক বিশ্লেষণ করে সম্মেলনে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটানকে এলডিসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বৈশ্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সাল থেকে লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ বা এলডিসি সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে জাতিসংঘ। প্রতি ১০ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন।

প্রত্যেক সম্মেলন শেষে বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ৩ বছর পর পর সেই তালিকা পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ। ২০২১ সালে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সে বছর হয়নি। চলতি বছর কাতারের রাজধানী দোহায় ৫ মার্চ শুরু হয়েছে সম্মেলন, চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে ২০১১ সালের সম্মেলনে বিশ্বের দরিদ্রতম ৪৫টি দেশের তালিকা করা হয়েছিল এবং সেই তালিকায় নাম ছিল ভুটানেরও।

আরোও পড়ুন । আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তুরস্কে বিক্ষোভ

জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী, যেসব দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১ হাজার ১৮ ডলারের নিচে— সেগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ বলা যায়। কাতারে চলমান সম্মেলনে ভুটানের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাত্র ৮ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ছোট এই পার্বত্য দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু আয় বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ডলার।

ভুটানের এই উন্নতির মূল কারণ দেশটির লাভজনক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থান হওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কিছু নদ-নদীর উৎসমুখ বা উৎপত্তিস্থল পড়েছে এই দেশটিতে। সেসব উৎসমুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে ভুটানের সরকার।

ভুটানের বিদ্যুতের একমাত্র ক্রেতাদেশ ভারত। এলডিসি সম্মেলনে দুই দেশের অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার সুপার পাওয়ার ভারতের চেয়ে ভুটানের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৩০ শতাংশ বেশি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এএফপিকে বলেন, ‘জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুবই সম্মান ও গৌরবের।’

আরোও পড়ুন । জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আলী ইমাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক চাকলাদার

কিন্তু দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়লে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে লোটে শেরিং বলেন, ‘জীবনের মূল কথা হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া। আপনি কিছু হারাবেন, তো কিছু পাবেন। (এলডিসি তালিকা থেকে বাদ পড়লে) আমরা হয়তো কিছু অনুদান-সহায়তা হারাব, কিন্তু আমাদের সামনে নিত্যনতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে, বিনিয়োগও বাড়বে। এটা আসলে খেলার একটি কৌশলমাত্র।’ সূত্র : ঢাকা পোস্ট

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জলবিদ্যুতে বাম্পার মুনাফা, দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ল ভুটান

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিমালয় পবর্তমালা বেষ্টিত দেশ ভুটান চলতি বছরই জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছে। কাতারে চলমান জাতিসংঘের এলডিসি সম্মেলনে গৃহীত হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। ভূটানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ও সূচক বিশ্লেষণ করে সম্মেলনে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটানকে এলডিসি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। বৈশ্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সাল থেকে লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রিজ বা এলডিসি সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে জাতিসংঘ। প্রতি ১০ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন।

প্রত্যেক সম্মেলন শেষে বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ৩ বছর পর পর সেই তালিকা পর্যালোচনা করে জাতিসংঘ। ২০২১ সালে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সে বছর হয়নি। চলতি বছর কাতারের রাজধানী দোহায় ৫ মার্চ শুরু হয়েছে সম্মেলন, চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে ২০১১ সালের সম্মেলনে বিশ্বের দরিদ্রতম ৪৫টি দেশের তালিকা করা হয়েছিল এবং সেই তালিকায় নাম ছিল ভুটানেরও।

আরোও পড়ুন । আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তুরস্কে বিক্ষোভ

জাতিসংঘের মানদণ্ড অনুযায়ী, যেসব দেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১ হাজার ১৮ ডলারের নিচে— সেগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ বলা যায়। কাতারে চলমান সম্মেলনে ভুটানের অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাত্র ৮ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ছোট এই পার্বত্য দেশটির বার্ষিক মাথাপিছু আয় বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ ডলার।

ভুটানের এই উন্নতির মূল কারণ দেশটির লাভজনক জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থান হওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কিছু নদ-নদীর উৎসমুখ বা উৎপত্তিস্থল পড়েছে এই দেশটিতে। সেসব উৎসমুখে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে ভুটানের সরকার।

ভুটানের বিদ্যুতের একমাত্র ক্রেতাদেশ ভারত। এলডিসি সম্মেলনে দুই দেশের অর্থনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার সুপার পাওয়ার ভারতের চেয়ে ভুটানের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৩০ শতাংশ বেশি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এএফপিকে বলেন, ‘জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুবই সম্মান ও গৌরবের।’

আরোও পড়ুন । জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আলী ইমাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক চাকলাদার

কিন্তু দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়লে আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে লোটে শেরিং বলেন, ‘জীবনের মূল কথা হলো খাপ খাইয়ে নেওয়া। আপনি কিছু হারাবেন, তো কিছু পাবেন। (এলডিসি তালিকা থেকে বাদ পড়লে) আমরা হয়তো কিছু অনুদান-সহায়তা হারাব, কিন্তু আমাদের সামনে নিত্যনতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি হবে, বিনিয়োগও বাড়বে। এটা আসলে খেলার একটি কৌশলমাত্র।’ সূত্র : ঢাকা পোস্ট

সাথী / হককথা