চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলছে ‘চিপযুদ্ধ’

- প্রকাশের সময় : ০৩:২৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৪১ বার পঠিত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সেমিকন্ডাকটর বা চিপ নিয়ে লড়াই জমে উঠেছে। এ প্রযুক্তির বেশিরভাগই আছে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে। তবে এখন এই চিপ তৈরির প্রযুক্তি হাতে পেতে চাচ্ছে চীন। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। খবর বিবিসির।
একটুখানি সিলিকনের টুকরা দিয়ে তৈরি এই চিপের বাজার মোটেও ক্ষুদ্র নয়। বিশ্বব্যাপী ৫০ হাজার কোটি ডলারের এই চিপের বাজার আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ ফুলে-ফেঁপে দ্বিগুণ আকার নেবে। এই চিপ তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য দেশ ও কোম্পানি। তাদের জটিল নেটওয়ার্ক এমনভাবে একটির সঙ্গে আরেকটি যুক্ত যে, সোজা কথায় এ সরবরাহ ব্যবস্থা বা ‘সাপ্লাই চেইনের’ নিয়ন্ত্রণ যার হাতে থাকবে, তার হাতেই উঠবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তি হয়ে ওঠার চাবিকাঠি।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত- তা অনেকেই জানেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-চীনের এই লড়াইয়ের আরও একটি দিক আছে বলে মনে করেন ক্রিস মিলার। টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিলার সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন ‘চিপ ওয়ারস’ নামে।
তিনি বলেন, এতকাল যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জাহাজ বা ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যার মতো ক্ষেত্রে চলেছে, কিন্তু এখন এ লড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অ্যালগরিদমগুলো কারটা কত ভালো- সে ক্ষেত্রেও চলছে। যা মিলিটারি সিস্টেমগুলোতে ব্যবহার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে এখনও যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে।
চিপ তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। এর জন্য প্রয়োজন বিশেষ ধরনের জ্ঞান এবং এর উৎপাদনের সঙ্গে অন্য অনেক বিষয় গভীরভাবে জড়িত। একটি আইফোনের ভেতর যে চিপগুলো থাকে, তা ডিজাইন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে এবং তৈরি হয় তাইওয়ান, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ায়। এরপর সেগুলো অ্যাসেম্বলিং বা একসঙ্গে সন্নিবেশ করার কাজটা হয় চীনে। তবে ভারত এখন এ শিল্পে বেশি বিনিয়োগ করছে এবং তারা হয়তো আগামী দিনগুলোতে আরও বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। চিপ তৈরির ক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো একটি অতি ক্ষুদ্র সিলিকনের টুকরার মধ্যে কতগুলো ট্রানজিস্টার বসানো যায়।