নিউইয়র্ক ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীনের নতুন আইনে চিন্তা বাড়ল ভারতের!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
  • / ১১৪ বার পঠিত

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক সমীকরণ বদলেছে। রাশিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে ডলার ব্যবহার করতে না পারায় চীনের কিছুটা সুবিধা হয়েছে বলা যায়। ডলারের বিকল্প হিসাবে অনেক দেশই ব্যবহার করছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান। তবে বিভিন্ন দেশের উপর যখন তখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চীন ভাল চোখে দেখছে না। এতে তাদের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকলাপও বাধা পাচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আগ্রহী বেইজিং। এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আইনি ‘প্রত্যাঘাত’ এর পরিকল্পনা করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীনে বিদেশনীতি সংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাশ হয়েছে।

নতুন আইনটি চীনের পুরনো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইনের সঙ্গে নতুন কয়েকটি নিয়মের সংমিশ্রণ। এর মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বেঁধেছেন শি জিনপিং। নতুন আইনে অর্থনীতির চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দিয়েছে চীন। আইনটির বয়ানে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ শব্দটি সাত বার ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ‘অর্থনীতি’ এসেছে মাত্র দু’বার।

আরোও পড়ুন । মহারাষ্ট্রে বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় ২৫ যাত্রীর মৃত্যু

গত ২৮ জুন চীনের ন্যাশনাল পিপ্‌লস কংগ্রেস বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক নতুন আইনটি পাশ করে। এখন থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে ওই আইন প্রয়োগ করতে পারে বেইজিং। নতুন আইনটিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করার একটি আইনি অস্ত্র হিসাবে ব্যাখ্যা করছে বেইজিং। এর মাধ্যমে যেকোনও দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারবে দেশটি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বলে অভিযোগ। এতে বিদেশে চীনের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেকোনও দেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যদি কোনোভাবে চীনের স্বার্থে আঘাত করে, তবে নতুন আইনের মাধ্যমে সেই অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবে বেইজিং।

চীনের এই নতুন আইনের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ভারতের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। তাই নয়াদিল্লিরও এক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। নতুন আইনের মাধ্যমে চাইলেই ভারতের বিরুদ্ধেও কড়া হতে পারে বেইজিং। চীন এবং ভারতের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হলে নতুন আইন প্রয়োগ করে বেইজিং ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারে। চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ কম নয়। বাণিজ্যিক স্বার্থে আঘাত লাগলে তাই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কড়া হতে পারে বেইজিং। চীনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীনের নতুন আইনে চিন্তা বাড়ল ভারতের!

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনেক সমীকরণ বদলেছে। রাশিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যে ডলার ব্যবহার করতে না পারায় চীনের কিছুটা সুবিধা হয়েছে বলা যায়। ডলারের বিকল্প হিসাবে অনেক দেশই ব্যবহার করছে চীনা মুদ্রা ইউয়ান। তবে বিভিন্ন দেশের উপর যখন তখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চীন ভাল চোখে দেখছে না। এতে তাদের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকলাপও বাধা পাচ্ছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আগ্রহী বেইজিং। এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আইনি ‘প্রত্যাঘাত’ এর পরিকল্পনা করেছে চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীনে বিদেশনীতি সংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাশ হয়েছে।

নতুন আইনটি চীনের পুরনো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আইনের সঙ্গে নতুন কয়েকটি নিয়মের সংমিশ্রণ। এর মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বেঁধেছেন শি জিনপিং। নতুন আইনে অর্থনীতির চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তার দিকে বেশি নজর দিয়েছে চীন। আইনটির বয়ানে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ শব্দটি সাত বার ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু ‘অর্থনীতি’ এসেছে মাত্র দু’বার।

আরোও পড়ুন । মহারাষ্ট্রে বাসে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় ২৫ যাত্রীর মৃত্যু

গত ২৮ জুন চীনের ন্যাশনাল পিপ্‌লস কংগ্রেস বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক নতুন আইনটি পাশ করে। এখন থেকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কের নিরিখে ওই আইন প্রয়োগ করতে পারে বেইজিং। নতুন আইনটিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করার একটি আইনি অস্ত্র হিসাবে ব্যাখ্যা করছে বেইজিং। এর মাধ্যমে যেকোনও দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কড়া অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারবে দেশটি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে বলে অভিযোগ। এতে বিদেশে চীনের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেকোনও দেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যদি কোনোভাবে চীনের স্বার্থে আঘাত করে, তবে নতুন আইনের মাধ্যমে সেই অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবে বেইজিং।

চীনের এই নতুন আইনের লক্ষ্য নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু ভারতের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক খুব একটা মধুর নয়। তাই নয়াদিল্লিরও এক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। নতুন আইনের মাধ্যমে চাইলেই ভারতের বিরুদ্ধেও কড়া হতে পারে বেইজিং। চীন এবং ভারতের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি হলে নতুন আইন প্রয়োগ করে বেইজিং ভারতের বিরুদ্ধে কড়া অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারে। চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ কম নয়। বাণিজ্যিক স্বার্থে আঘাত লাগলে তাই নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কড়া হতে পারে বেইজিং। চীনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : আনন্দবাজার

বেলী/হককথা