নিউইয়র্ক ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর ২ তুর্কি সাংবাদিককে ছেড়ে দিল জার্মানি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আংকারা ও বার্লিনের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ সৃষ্টি করে বুধবার জার্মান পুলিশ দুই তুর্কি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ইসমাইল এরেল এবং সেমিল আলবে তুর্কি দৈনিক সাবাহর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। ফ্রাংকফুর্টে জার্মান পুলিশ কয়েক ডজন সদস্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর পর দিনের প্রথম দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে তাদের ফোন, ল্যাপটপ এবং ইলেকট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইসও জব্দ করা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ফাতিহ জিঙ্গাল বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ফেতুল্লা সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফইটিও) অনুসারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিঙ্গাল বলেন, ‘জার্মান কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে পারত এবং অভিযোগ সম্পর্কে তাদের প্রশ্ন করতে পারত। এর পরিবর্তে তারা তাদের গ্রেপ্তার করে এবং তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এরেল এবং আলবে পেশাদার সাংবাদিক। সাংবাদিকতার জন্য তাদের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। গ্রেপ্তারের ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সমিতিগুলো প্রতিবাদ শুরু করে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আংকারায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত জার্গেন শুলজকে তলব করে এবং সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানায়।

আরোও পড়ুন । ডলারের বিকল্প ব্রিকস মুদ্রা চালু করতে প্রস্তুত ৩০ দেশ !

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জার্মান পুলিশ সাবাহ পত্রিকার ফ্রাংকফুর্ট ব্যুরো প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করেছে, যা তুর্কি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন। আমরা এই জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।’ তুর্কি ভাষার দৈনিক সাবাহ ব্যাপকভাবে ফেটোর কার্যক্রম কভার করেছিল, যেটি ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে একটি পরাজিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার আয়োজন করেছিল এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অসংখ্য হুমকি পেয়েছিল। ফেটোর প্রতি জার্মান সরকারের সহনশীলতা এবং সেই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত সাবেক জেনারেল, আমলা বা প্রসিকিউটরসহ মূল সন্দেহভাজনদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করার অনিচ্ছা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্লিনও আংকারার মধ্যে উত্তেজনার একটি প্রধান উৎস। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর ২ তুর্কি সাংবাদিককে ছেড়ে দিল জার্মানি

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আংকারা ও বার্লিনের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ সৃষ্টি করে বুধবার জার্মান পুলিশ দুই তুর্কি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে। তবে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ইসমাইল এরেল এবং সেমিল আলবে তুর্কি দৈনিক সাবাহর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। ফ্রাংকফুর্টে জার্মান পুলিশ কয়েক ডজন সদস্য তাদের বাড়িতে অভিযান চালানোর পর দিনের প্রথম দিকে তাদের গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে তাদের ফোন, ল্যাপটপ এবং ইলেকট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইসও জব্দ করা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী ফাতিহ জিঙ্গাল বলেছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ফেতুল্লা সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফইটিও) অনুসারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিঙ্গাল বলেন, ‘জার্মান কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে পারত এবং অভিযোগ সম্পর্কে তাদের প্রশ্ন করতে পারত। এর পরিবর্তে তারা তাদের গ্রেপ্তার করে এবং তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এরেল এবং আলবে পেশাদার সাংবাদিক। সাংবাদিকতার জন্য তাদের গ্রেপ্তার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। গ্রেপ্তারের ফলে স্থানীয় সাংবাদিক সমিতিগুলো প্রতিবাদ শুরু করে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আংকারায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত জার্গেন শুলজকে তলব করে এবং সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানায়।

আরোও পড়ুন । ডলারের বিকল্প ব্রিকস মুদ্রা চালু করতে প্রস্তুত ৩০ দেশ !

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জার্মান পুলিশ সাবাহ পত্রিকার ফ্রাংকফুর্ট ব্যুরো প্রতিনিধিদের গ্রেপ্তার করেছে, যা তুর্কি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন। আমরা এই জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।’ তুর্কি ভাষার দৈনিক সাবাহ ব্যাপকভাবে ফেটোর কার্যক্রম কভার করেছিল, যেটি ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে একটি পরাজিত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার আয়োজন করেছিল এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অসংখ্য হুমকি পেয়েছিল। ফেটোর প্রতি জার্মান সরকারের সহনশীলতা এবং সেই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িত সাবেক জেনারেল, আমলা বা প্রসিকিউটরসহ মূল সন্দেহভাজনদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করার অনিচ্ছা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বার্লিনও আংকারার মধ্যে উত্তেজনার একটি প্রধান উৎস। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

বেলী/হককথা