নিউইয়র্ক ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খরা ও বন্যার কবলে বিপর্যস্ত বিশ্ব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪২ বার পঠিত

ছবি- সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কবলে পড়েছে বিশ্ব। একদিকে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ডুবছে তো আরেক দিকে পুড়ছে দাবদাহে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকা পুড়ছে দাবদাহে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এরই মধ্যে রোববার চীনের একটি গ্রামে ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৯০ বছরে পৃথিবীতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরেই দাবদাহ বেড়ে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইউরোপে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। ইতালির সারদিনিয়া শহরে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবার ইউরোপের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। সর্বশেষ রেকর্ড ছিল ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেশিদিন আগে নয়, ২০২১ সালের আগস্টে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

অন্যদিকে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় ইতালির ১৬ শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

চলমান তাপপ্রবাহ আগস্ট মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। পাশাপাশি, চরম ঝুঁকিতে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।

একদিকে ভয়াবহ গরম অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা, ভূমিধস; এমন চরম আবহাওয়া বিরাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ এশিয়ায়। এখানকার সরকার প্রধানরা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে জনগণকে সতর্ক করে দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে ভারী বৃষ্টিপাতে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। ভূমিধসের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া এর সঙ্গে রয়েছে তাপপ্রবাহ যা শিশু ও বয়স্কদের অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার চেওংজু শহরে একটি টানেল থেকে ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গেল কয়েকদিনের ভারীবৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় টানেলটি তলিয়ে যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকে ছিল।

সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাজার হাজার মানুষজনকে। এমন চরম আবহাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেন, আমাদের মানতে হবে যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

এশিয়ার আরেক দেশ জাপানেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তের এক মুখপাত্র বলেন, এমন বৃষ্টি আর কখনও হয়নি।

একইরকম অবস্থা ফিলিপাইন, কম্বোডিয়াত ও ভারতের। দেশগুলো বিভিন্ন শহরে বন্যায় কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১০ জুলাই দিল্লিতে ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

নাসরিন /হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

খরা ও বন্যার কবলে বিপর্যস্ত বিশ্ব

প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার কবলে পড়েছে বিশ্ব। একদিকে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ডুবছে তো আরেক দিকে পুড়ছে দাবদাহে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে ইউরোপ ও আমেরিকা পুড়ছে দাবদাহে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

এরই মধ্যে রোববার চীনের একটি গ্রামে ৫২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ৫৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গত ৯০ বছরে পৃথিবীতে রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রাগুলোর একটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরেই দাবদাহ বেড়ে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইউরোপে এ সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। ইতালির সারদিনিয়া শহরে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এবার ইউরোপের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে। সর্বশেষ রেকর্ড ছিল ৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেশিদিন আগে নয়, ২০২১ সালের আগস্টে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

অন্যদিকে ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় ইতালির ১৬ শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

চলমান তাপপ্রবাহ আগস্ট মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। পাশাপাশি, চরম ঝুঁকিতে বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ।

একদিকে ভয়াবহ গরম অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা, ভূমিধস; এমন চরম আবহাওয়া বিরাজ করছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মহাদেশ এশিয়ায়। এখানকার সরকার প্রধানরা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে জনগণকে সতর্ক করে দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে ভারী বৃষ্টিপাতে ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপানে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে কোটি কোটি মানুষ। ভূমিধসের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া এর সঙ্গে রয়েছে তাপপ্রবাহ যা শিশু ও বয়স্কদের অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার চেওংজু শহরে একটি টানেল থেকে ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গেল কয়েকদিনের ভারীবৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় টানেলটি তলিয়ে যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি আটকে ছিল।

সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাজার হাজার মানুষজনকে। এমন চরম আবহাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেন, আমাদের মানতে হবে যে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

এশিয়ার আরেক দেশ জাপানেও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তের এক মুখপাত্র বলেন, এমন বৃষ্টি আর কখনও হয়নি।

একইরকম অবস্থা ফিলিপাইন, কম্বোডিয়াত ও ভারতের। দেশগুলো বিভিন্ন শহরে বন্যায় কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১০ জুলাই দিল্লিতে ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

নাসরিন /হককথা