নিউইয়র্ক ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কেজরিওয়াল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১৭ বার পঠিত

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিককে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল যে, তারা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির দিকে নজর রাখছে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে নয়া দিল্লি। বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অন্তর্বর্তীকালীন উপ-প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৪০ মিনিট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিলেন বারবেনা। তার প্রস্থানের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যেভাবে ভারতের একটি আইনি কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রগুলি একে অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি সম্মান দেখাবে, এটাই কূটনীতিতে আশা করা হয়। বন্ধুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই দায়িত্বটা আরও বেশি। এর অন্যথা হলে অস্বাস্থ্যকর উদাহরণ তৈরি হয়ে যেতে পারে। ভারতের আইনি ব্যবস্থাকে অপবাদ দেয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।

এর আগে জার্মানিও অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ ও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জার্মান দূতাবাসের উপ-প্রধানকে ডেকে এনে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্যকে আমাদের আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং আমাদের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে খাটো করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও জার্মানির পথ অনুসরণ করেন।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল যাতে সময়-মতো ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান, সেটাই কাম্য। এরপর জার্মানির ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানালো ভারত।

বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি – দুই দেশেরই সুসম্পর্ক আছে। বিশেষ করে চীনের ক্রমবর্ধমান বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব বেড়েছে। তার ওপরে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এমন একটা সময়ে বন্ধু রাষ্ট্র্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কেন যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করল, তা অনেককে অবাক করেছে। সূত্র : মানবজমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

কেজরিওয়াল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

প্রকাশের সময় : ১০:৫৩:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিককে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল যে, তারা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির দিকে নজর রাখছে। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে নয়া দিল্লি। বুধবার দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অন্তর্বর্তীকালীন উপ-প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে।

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় ৪০ মিনিট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিলেন বারবেনা। তার প্রস্থানের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যেভাবে ভারতের একটি আইনি কার্যক্রম নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রগুলি একে অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি সম্মান দেখাবে, এটাই কূটনীতিতে আশা করা হয়। বন্ধুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এই দায়িত্বটা আরও বেশি। এর অন্যথা হলে অস্বাস্থ্যকর উদাহরণ তৈরি হয়ে যেতে পারে। ভারতের আইনি ব্যবস্থাকে অপবাদ দেয়া সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।

এর আগে জার্মানিও অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ ও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জার্মান দূতাবাসের উপ-প্রধানকে ডেকে এনে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্যকে আমাদের আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং আমাদের বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতাকে খাটো করার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রও জার্মানির পথ অনুসরণ করেন।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল যাতে সময়-মতো ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যান, সেটাই কাম্য। এরপর জার্মানির ন্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানালো ভারত।

বিবিসির রিপোর্টে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি – দুই দেশেরই সুসম্পর্ক আছে। বিশেষ করে চীনের ক্রমবর্ধমান বিশ্বশক্তি হয়ে ওঠার প্রেক্ষিতে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব বেড়েছে। তার ওপরে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এমন একটা সময়ে বন্ধু রাষ্ট্র্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় অরভিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কেন যুক্তরাষ্ট্র মন্তব্য করল, তা অনেককে অবাক করেছে। সূত্র : মানবজমিন।