নিউইয়র্ক ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কানাডার ট্রুডোকে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ছাড়াই ‘প্যারাডাইস পেপার্সে’ জড়াল প্রথম আলো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১২০৮ বার পঠিত

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো (কানাডা): এ বছর ১৯ বছরে পদাপর্ণকারী বাংলাদেশের পত্রিকা প্রথম আলো ৬ নভেম্বর অনলাইনে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের সংবাদটি ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ বা তথ্যযাচাই ছাড়াই শিরোনাম করেছে ‘এবার প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি : নাম আছে ট্রাম্প, ট্রুডো ও রানি এলিজাবেথের’। আর সেটির সূচনায় বলেছেÑ ‘আবারও ধাক্কা খেল বিশ্ব। আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো আজ। কার নাম নেই এ কেলেঙ্কারিতে? ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি বিশ্বজুড়ে মহানায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! প্রায় ১৪ কোটি গোপন নথি ফাঁস হওয়া এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পারাডাইজ পেপারস’।
অথচ ‘কাউন্টার জার্নালিজম’ বা প্রতিসাংবাদিকতার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, একই সময়ে অনলাইনে ব্রিটেনের বিবিসি ও গার্ডিয়ান, কানাডার সিবিসি ও টরন্টো স্টার, ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জার্মানির স্পিজেল, ফ্রান্সের লি মন্ডে ও রেডিও ফ্রান্স এবং পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে প্রথম আলোর পরিবেশিত তথ্যের কোনো সঙ্গতি বা সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং এই গণমাধ্যমগুলোতে মুখ্যভাবে শিরোনাম হয়েছে, ‘ট্রুডোজ চিফ ফান্ডরেইজার লিঙ্কড টু কেম্যান আইল্যান্ডস ট্যাক্স স্কিম’ এবং ‘প্যারাডাইস পেপারস : ট্যাক্স রিভেলেশন হিট কানাডা পিএম জাস্টিন ট্রুডোজ ফান্ডরেইজার’। অর্থাৎ ট্রুডোর প্রধান তহবিল উত্তোলক কেম্যান দ্বীপে কর ফাঁকির পরিকল্পনায় জড়িত এবং কর ফাঁকিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর তহবিল উত্তোলককে জড়িয়েছে প্যারাডাইস পেপারস।
তা হলে প্রথম আলো পরিবেশিত সংবাদে ‘এমনকি বিশ্বজুড়ে মহানায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’ এই বক্তব্যটি কী শুধুই অসৌজন্যতা প্রদর্শন বা মানহানিকর, নাকি ‘সত্যোত্তর বিশ্বে’ অপসাংবাদিকতার একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ? কেননা ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন হতে নির্বাচনি বৈতরণীতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রতিজ্ঞবদ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি দেশের অবহেলিতদের জন্য লড়বেন, করের চাপ কমাবেন এবং মধ্যবিত্তদের ধনী হতে সাহায্য করবেন। এখনো এই জনহিতকর দৃষ্টিভঙ্গিটিই তার সরকারের নীতিতে দৃশ্যমান। সেজন্যই নির্বাচিত হয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘আওয়ার গভর্মেন্ট হ্যাজ লং নউন – ইনডিড উই গট ইলেকটেড – অন এ প্রোমিস টু মেক সিউর দ্যাট পিপল ওয়্যার দেয়ার ফেয়ার শেয়ার অব ট্যাক্সেস’। অর্থাৎ আমাদের সরকারের সুদীর্ঘ পরিচিতিটি হচ্ছে, যার জন্য তারা নির্বাচিত, জনগণ যেন যথোপযুক্ত করটি দেয়। এতে তিনি আরও বলেন, ‘ট্যাক্স অ্যাভয়ডেন্স, ট্যাক্স অ্যাভেশন ইজ সামথিং উই টেক ভেরি সিরিয়াসলি’। অর্থাৎ কর পরিহার, কর ফাঁকির মতো বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি।
বাস্তবে ‘প্যারাডাইস পেপারস’ প্রায় ১৩ কোটি ৪০ লাখ দলিলাদির ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটি জার্মানির পত্রিকা ‘সুইডয়েচে জাইতং’ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকগোষ্ঠী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’, যাদের মাঝে টরন্টো স্টার পত্রিকা এবং সিবিসি ও রেডিও কানাডা অন্তর্ভুক্ত, তারা একত্রে ৫ হাজার দলিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টির প্রধান তহবিল উত্তোলক স্টিফেন ব্রোনফম্যান ও ব্রোনফম্যানের দত্তক পিতা সাবেক সিনেটর লিও কোলবারের সম্পৃক্তি খুঁজে পেয়েছে। যেখানে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দূরবর্তী কর ফাঁকির বিনিয়োগের বিষয়টি কানাডা, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর কর্তৃপক্ষ উন্মোচনে সক্ষম হয়েছে।
একইভাবে ওই প্যারাডাইস পেপারসে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পৃক্তি খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস ও ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এস্টেটের এক ধরনের সম্পৃক্তি উন্মোচিত হয়েছে। এতে ব্যক্তিগত জীবনে উইলবার রস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ক্রেমলিনের বন্ধুদের নিয়োজিত ব্যবসায়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। পাশাপাশি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এস্টেট কেম্যান দ্বীপের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যারা ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ সুদে গৃহসাগ্রী বিক্রি করে। তথাপি জানা গেছে, সামগ্রিকভাবে প্যারাডাইস পেপারসে ৫০টি দেশের ১২০ জনের অধিক রাজনীদিবিদ জড়িত রয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে ‘পানামা পেপারস’ বলে খ্যাত অনুসন্ধানী দলিলে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ২ লাখ ১৪ হাজার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের বিষয়টি উন্মোচিত হয়। তাতে বিশ্বের ১৪০ জন রাজনীতিকের সম্পৃক্তি প্রকাশ পায়। ফলে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমান্দুর গানলাগসান পদত্যাগ করেন এবং দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ওলাফুর রাগনার গ্রিমসন পুননির্বাচন থেকে বিরত হন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে কোর্ট উৎখাত করে এবং তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে।
ওই পানামা পেপারস প্রকাশ করে আইসিআইজে বা ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতায় সম্মানপূর্ণ ‘পুলিৎজার প্রাইজ’ ভূষিত হয়।
ই-মেইল : bukhari.toronto@gmail.coma

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

কানাডার ট্রুডোকে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ছাড়াই ‘প্যারাডাইস পেপার্সে’ জড়াল প্রথম আলো

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০১৭

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো (কানাডা): এ বছর ১৯ বছরে পদাপর্ণকারী বাংলাদেশের পত্রিকা প্রথম আলো ৬ নভেম্বর অনলাইনে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের সংবাদটি ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ বা তথ্যযাচাই ছাড়াই শিরোনাম করেছে ‘এবার প্যারাডাইজ পেপারস কেলেঙ্কারি : নাম আছে ট্রাম্প, ট্রুডো ও রানি এলিজাবেথের’। আর সেটির সূচনায় বলেছেÑ ‘আবারও ধাক্কা খেল বিশ্ব। আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হলো আজ। কার নাম নেই এ কেলেঙ্কারিতে? ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এমনকি বিশ্বজুড়ে মহানায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! প্রায় ১৪ কোটি গোপন নথি ফাঁস হওয়া এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পারাডাইজ পেপারস’।
অথচ ‘কাউন্টার জার্নালিজম’ বা প্রতিসাংবাদিকতার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যাচ্ছে, একই সময়ে অনলাইনে ব্রিটেনের বিবিসি ও গার্ডিয়ান, কানাডার সিবিসি ও টরন্টো স্টার, ভারতের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জার্মানির স্পিজেল, ফ্রান্সের লি মন্ডে ও রেডিও ফ্রান্স এবং পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে প্রথম আলোর পরিবেশিত তথ্যের কোনো সঙ্গতি বা সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং এই গণমাধ্যমগুলোতে মুখ্যভাবে শিরোনাম হয়েছে, ‘ট্রুডোজ চিফ ফান্ডরেইজার লিঙ্কড টু কেম্যান আইল্যান্ডস ট্যাক্স স্কিম’ এবং ‘প্যারাডাইস পেপারস : ট্যাক্স রিভেলেশন হিট কানাডা পিএম জাস্টিন ট্রুডোজ ফান্ডরেইজার’। অর্থাৎ ট্রুডোর প্রধান তহবিল উত্তোলক কেম্যান দ্বীপে কর ফাঁকির পরিকল্পনায় জড়িত এবং কর ফাঁকিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর তহবিল উত্তোলককে জড়িয়েছে প্যারাডাইস পেপারস।
তা হলে প্রথম আলো পরিবেশিত সংবাদে ‘এমনকি বিশ্বজুড়ে মহানায়ক বনে যাওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো’ এই বক্তব্যটি কী শুধুই অসৌজন্যতা প্রদর্শন বা মানহানিকর, নাকি ‘সত্যোত্তর বিশ্বে’ অপসাংবাদিকতার একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ? কেননা ২০১৫ সালে ক্ষমতাসীন হতে নির্বাচনি বৈতরণীতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রতিজ্ঞবদ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি দেশের অবহেলিতদের জন্য লড়বেন, করের চাপ কমাবেন এবং মধ্যবিত্তদের ধনী হতে সাহায্য করবেন। এখনো এই জনহিতকর দৃষ্টিভঙ্গিটিই তার সরকারের নীতিতে দৃশ্যমান। সেজন্যই নির্বাচিত হয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ‘আওয়ার গভর্মেন্ট হ্যাজ লং নউন – ইনডিড উই গট ইলেকটেড – অন এ প্রোমিস টু মেক সিউর দ্যাট পিপল ওয়্যার দেয়ার ফেয়ার শেয়ার অব ট্যাক্সেস’। অর্থাৎ আমাদের সরকারের সুদীর্ঘ পরিচিতিটি হচ্ছে, যার জন্য তারা নির্বাচিত, জনগণ যেন যথোপযুক্ত করটি দেয়। এতে তিনি আরও বলেন, ‘ট্যাক্স অ্যাভয়ডেন্স, ট্যাক্স অ্যাভেশন ইজ সামথিং উই টেক ভেরি সিরিয়াসলি’। অর্থাৎ কর পরিহার, কর ফাঁকির মতো বিষয়গুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করি।
বাস্তবে ‘প্যারাডাইস পেপারস’ প্রায় ১৩ কোটি ৪০ লাখ দলিলাদির ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেটি জার্মানির পত্রিকা ‘সুইডয়েচে জাইতং’ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকগোষ্ঠী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’, যাদের মাঝে টরন্টো স্টার পত্রিকা এবং সিবিসি ও রেডিও কানাডা অন্তর্ভুক্ত, তারা একত্রে ৫ হাজার দলিলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক দল লিবারেল পার্টির প্রধান তহবিল উত্তোলক স্টিফেন ব্রোনফম্যান ও ব্রোনফম্যানের দত্তক পিতা সাবেক সিনেটর লিও কোলবারের সম্পৃক্তি খুঁজে পেয়েছে। যেখানে ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দূরবর্তী কর ফাঁকির বিনিয়োগের বিষয়টি কানাডা, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর কর্তৃপক্ষ উন্মোচনে সক্ষম হয়েছে।
একইভাবে ওই প্যারাডাইস পেপারসে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পৃক্তি খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস ও ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এস্টেটের এক ধরনের সম্পৃক্তি উন্মোচিত হয়েছে। এতে ব্যক্তিগত জীবনে উইলবার রস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও ক্রেমলিনের বন্ধুদের নিয়োজিত ব্যবসায়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। পাশাপাশি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের এস্টেট কেম্যান দ্বীপের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যারা ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ সুদে গৃহসাগ্রী বিক্রি করে। তথাপি জানা গেছে, সামগ্রিকভাবে প্যারাডাইস পেপারসে ৫০টি দেশের ১২০ জনের অধিক রাজনীদিবিদ জড়িত রয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালে ‘পানামা পেপারস’ বলে খ্যাত অনুসন্ধানী দলিলে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের ২ লাখ ১৪ হাজার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কর ফাঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের বিষয়টি উন্মোচিত হয়। তাতে বিশ্বের ১৪০ জন রাজনীতিকের সম্পৃক্তি প্রকাশ পায়। ফলে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমান্দুর গানলাগসান পদত্যাগ করেন এবং দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান ওলাফুর রাগনার গ্রিমসন পুননির্বাচন থেকে বিরত হন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে কোর্ট উৎখাত করে এবং তাকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে।
ওই পানামা পেপারস প্রকাশ করে আইসিআইজে বা ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতায় সম্মানপূর্ণ ‘পুলিৎজার প্রাইজ’ ভূষিত হয়।
ই-মেইল : bukhari.toronto@gmail.coma