কানাডায় গ্রীষ্মজুড়েই চলতে পারে দাবানল
- প্রকাশের সময় : ১২:১২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে জ্বলছে কানাডার দাবানল। দেশ-মহাদেশ ছাড়িয়ে সেই আগুনের ধোঁয়া পৌঁছেছে ইউরোপেও। ভয়ংকর তাণ্ডব চালাচ্ছে। এক রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়ছে আরেক রাজ্যে। রোববার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আলবার্টা, সেন্ট্রাল কানাডা, মানিটবা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কুইবেক, নোভা স্কটিয়া, নিউ বুরুনসিকসহ নয়টি প্রদেশে জ্বলছে ৪৪১টি দাবানল। পশ্চিমদিকের রাজ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও দাউ দাউ করে জ্বলছে পূর্ব প্রান্ত।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দেশটির ১০৬ লাখ একরের বেশি জমি, বাড়ি, বনাঞ্চল। শনিবার কানাডার একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, এই দাবানল ‘গ্রীষ্মজুড়ে’ চলতে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে রোববার এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, কানাডার দাবানলের ধোঁয়া পাড়ি দিয়েছে মহাসাগর। বিষধোঁয়া ঢুকে পড়েছে ইউরোপের নরওয়েতে। ইউরোপের দক্ষিণদিকের দেশগুলোতেও ধোঁয়া পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরোও পড়ুন। মোদি-বাইডেন বৈঠকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি ঢাকার
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতে, এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পেছনে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক কুফল। তাই গরমের মওসুম শুরুর অনেক আগেই দাবানল ছড়িয়েছে কানাডায়। তবে অনেকের মতে, গত বছর শীতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম তুষারপাত হয়। চলতি গরমে ভীষণ তাপপ্রবাহও হচ্ছে। এর পেছনেও কিন্তু দায়ী সেই যথেচ্ছভাবে গাছপালা কাটার ও মানুষের নানা কুঅভ্যাস। এপ্রিলে ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায় কানাডা প্রশাসন। দাবানলের জেরে সে দেশে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি খনিশিল্পও বিপদের মুখে পড়ে। কানাডার বড় রাজ্য কুইবেকের অন্তত ১২ হাজার ৬০০ বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোভা স্কটিয়া। সে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি এলাকায় দাবানল ছড়িয়েছে বলে জানায় রয়র্টাস।
সুমি/হককথা