নিউইয়র্ক ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ওডেসা শহরে যেকোনও সময় হামলা হতে পারে : জেলেনস্কি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • / ৬৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রুশ বাহিনী এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসাতে বোমা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চেরনোবিল দখলের পর ইউক্রেনের জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এবার তাদের লক্ষ্য, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র ইয়ুসনিউক্রেইনস্ক। এরই সঙ্গে ইউক্রেনের অন্যতম বন্দর শহর ওডেসাতেও বোম ফেলতে চাইছে রাশিয়া। গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) নয়া ভিডিও বার্তায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।
ওডেসা শহরে বেশ কিছু সামরিক তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাস্তা একেবারে শান্ত ও জন-মানবহীন।
কৃষ্ণসাগরের তীরের এই ঐতিহাসিক শহরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ থাকে। ওডেসা বন্দর মলদোভা সীমান্তের বেশ কাছে। শহরের একজন কর্মকর্তা মাইখাইলো শুমুশকোভিচ বলছেন, এর মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। তবে তারা লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত। যেকোনও সময় এটা ঘটতে পারে।
ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলে সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারকাজের জন্য সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও দেশের বাকি এলাকাগুলোতে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের মিকোলেইভ প্রদেশের ১২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ইয়ুসনিউক্রেইনস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এবার ক্রেমলিন দখল করতে চাইছে। শনিবারই রুশ বাহিনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এলাকা ঘিরে ফেলেছে বলে জানালেন তিনি।
পাশাপাশিই, তার আশঙ্কা, মারিওপোলের মতো ওডেসা শহরও দখল করতে চায় রাশিয়া। সেই লক্ষ্যেই কৃষ্ণ সাগরের তীরে ওই শহরে বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রেমলিন।
এদিকে মারিওপোল থেকে বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারে পরিকল্পনা আবারও ভেস্তে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই শহর থেকে দুই লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা যাবে বলে আশা করছিল আন্তর্জাতিক রেডক্রস। মারিওপোল থেকে কিছু নিরাপদ পথ খোলার জন্য কাজও শুরু করেছিল কয়েকটি টিম। কিন্তু এরপরই আবার লড়াই শুরু হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হলেও কীভাবে এটা করা হবে, সে বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি। তারা এই আলোচনায় সহযোগিতা করছে, কিন্তু দুইপক্ষের মধ্যে কোনও যুদ্ধবিরতি বা এর বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। -বিবিসি
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ওডেসা শহরে যেকোনও সময় হামলা হতে পারে : জেলেনস্কি

প্রকাশের সময় : ১২:০২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রুশ বাহিনী এখন দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসাতে বোমা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চেরনোবিল দখলের পর ইউক্রেনের জাপোরিজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এবার তাদের লক্ষ্য, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র ইয়ুসনিউক্রেইনস্ক। এরই সঙ্গে ইউক্রেনের অন্যতম বন্দর শহর ওডেসাতেও বোম ফেলতে চাইছে রাশিয়া। গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) নয়া ভিডিও বার্তায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি।
ওডেসা শহরে বেশ কিছু সামরিক তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে রাস্তা একেবারে শান্ত ও জন-মানবহীন।
কৃষ্ণসাগরের তীরের এই ঐতিহাসিক শহরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ থাকে। ওডেসা বন্দর মলদোভা সীমান্তের বেশ কাছে। শহরের একজন কর্মকর্তা মাইখাইলো শুমুশকোভিচ বলছেন, এর মধ্যে প্রায় এক লাখ মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে। তবে তারা লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত। যেকোনও সময় এটা ঘটতে পারে।
ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলে সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারকাজের জন্য সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও দেশের বাকি এলাকাগুলোতে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ।
ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের মিকোলেইভ প্রদেশের ১২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ইয়ুসনিউক্রেইনস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এবার ক্রেমলিন দখল করতে চাইছে। শনিবারই রুশ বাহিনী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এলাকা ঘিরে ফেলেছে বলে জানালেন তিনি।
পাশাপাশিই, তার আশঙ্কা, মারিওপোলের মতো ওডেসা শহরও দখল করতে চায় রাশিয়া। সেই লক্ষ্যেই কৃষ্ণ সাগরের তীরে ওই শহরে বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্রেমলিন।
এদিকে মারিওপোল থেকে বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারে পরিকল্পনা আবারও ভেস্তে গেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই শহর থেকে দুই লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা যাবে বলে আশা করছিল আন্তর্জাতিক রেডক্রস। মারিওপোল থেকে কিছু নিরাপদ পথ খোলার জন্য কাজও শুরু করেছিল কয়েকটি টিম। কিন্তু এরপরই আবার লড়াই শুরু হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের ব্যাপারে নীতিগতভাবে একমত হলেও কীভাবে এটা করা হবে, সে বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি। তারা এই আলোচনায় সহযোগিতা করছে, কিন্তু দুইপক্ষের মধ্যে কোনও যুদ্ধবিরতি বা এর বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। -বিবিসি
হককথা/এমউএ