নিউইয়র্ক ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘এস-৪০০ সংকটের একমাত্র সমাধান এরদোগানকে সরানো’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩০ বার পঠিত

আন্তজাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে, সেটি সমাধানের পথ দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি থেকে বেরিয়ে আসার পথ হচ্ছে এরদোগানকে সরিয়ে দেওয়া। আগামী নির্বাচনে এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই এই সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন বোল্টন। খবর মানবজমিন

দ্য হিলে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিরাপত্তাবিদ।ওই নিবন্ধে তিনি আরও বলেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনায় ভারতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

পাকিস্তান ও চীন থেকে নিজেদের সুরক্ষায় ভারত রাশিয়া থেকে মহাকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে ২০১৮ সালে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করে।

ভারতের রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হস্তান্তর দেশটির (ভারত) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। কারণ ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইন পাস হয়, রাশিয়ার সঙ্গে যে দেশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিনিময় করবে, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

তুরস্ক রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনায় গত বছর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একই কারণে এখনও পর্যন্ত ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা হচ্ছে।

বোল্টন মনে করেন, ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় তুরস্কসহ রাশিয়ার অস্ত্র ক্রেতারা নিজ দেশেরও ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি তোলতে পারছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথও দেখিয়েছেন সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা। ‘তুরস্কও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে আগামী নির্বাচনে এরদোগানকে পরাজিত করতে হবে। ‘

বোল্টন বরাবরই তুরস্কবিরোধী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ‘তুরস্কে গণতান্ত্রিক প্রকল্প’ ধারণা নিয়ে এসেছেন, তাদের মধ্যে বোল্টন অন্যতম। এই প্রকল্পে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাই জেব বুশ এবং ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিওলিও তারজি আগাতাও রয়েছেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘এস-৪০০ সংকটের একমাত্র সমাধান এরদোগানকে সরানো’

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

আন্তজাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ নিয়ে যে সংকট দেখা দিয়েছে, সেটি সমাধানের পথ দেখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তুরস্কের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেটি থেকে বেরিয়ে আসার পথ হচ্ছে এরদোগানকে সরিয়ে দেওয়া। আগামী নির্বাচনে এরদোগানকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারলেই এই সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন বোল্টন। খবর মানবজমিন

দ্য হিলে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নিরাপত্তাবিদ।ওই নিবন্ধে তিনি আরও বলেন, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনায় ভারতের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

পাকিস্তান ও চীন থেকে নিজেদের সুরক্ষায় ভারত রাশিয়া থেকে মহাকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনতে ২০১৮ সালে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই করে।

ভারতের রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হস্তান্তর দেশটির (ভারত) সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। কারণ ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আইন পাস হয়, রাশিয়ার সঙ্গে যে দেশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা বিনিময় করবে, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

তুরস্ক রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনায় গত বছর দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একই কারণে এখনও পর্যন্ত ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা হচ্ছে।

বোল্টন মনে করেন, ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করায় তুরস্কসহ রাশিয়ার অস্ত্র ক্রেতারা নিজ দেশেরও ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি তোলতে পারছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পথও দেখিয়েছেন সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের এই কর্মকর্তা। ‘তুরস্কও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে পারে। তবে শর্ত হচ্ছে আগামী নির্বাচনে এরদোগানকে পরাজিত করতে হবে। ‘

বোল্টন বরাবরই তুরস্কবিরোধী অবস্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ‘তুরস্কে গণতান্ত্রিক প্রকল্প’ ধারণা নিয়ে এসেছেন, তাদের মধ্যে বোল্টন অন্যতম। এই প্রকল্পে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাই জেব বুশ এবং ইতালির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিওলিও তারজি আগাতাও রয়েছেন।