ঋষি সুনাককে সরে দাঁড়াতে বললেন বরিস জনসন
- প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
- / ৬৯ বার পঠিত
কনজারভেটিভ পার্টির স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার না হওয়ার জন্য ঋষি সুনাককে বার্তা দিলেন বরিস জনসন। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিসের দাবি, এক মাত্র তার নেতৃত্বেই আগামী ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে দল জয়ী হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ফের তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরতে চান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ।
দায়িত্ব নেয়ার দেড় মাসের মাথায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে লিজ ট্রাসের পদত্যাগের পরে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের তালিকায় নাম রয়েছে দুজনেরই। প্রধানমন্ত্রী পদে লিজের পূর্বসূরি বরিসের সঙ্গে ঋষিরই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি। এই পরিস্থিতিতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনসন। কিন্তু তার পরেই একের পর এক বিতর্কে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। করোনাকালে বিধি ভেঙে পার্টি করাসহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সেই পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে গত ৬ জুলাই বরিসের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ দিয়েছিলেন ঋষি।
প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেও কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য এবং এমপিদের মধ্যে বরিসের অনুগামীর সংখ্যা এখনও অনেক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে কনজারভেটিভ পার্টির ৩৫৭ জন এমপি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন শুক্রবার প্রকাশ্যে বরিসের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তবে এমপিদের সমর্থনের নিরিখে প্রাথমিক ভাবে এগিয়ে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন ১০০ জনের বেশি টোরি (কনজারভেটিভ পার্টি) এমপি।
যদিও শেষ পর্যন্ত বরিস প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সাম্প্রতিক একটি জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২৪ সালে কনজারভেটিভদের হারিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চলেছে লেবার পার্টি। ওই সমীক্ষায় শাসকদলের নেতাদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন বরিস। দলকে ক্ষমতায় ফেরানোর আাশায় শেষ পর্যন্ত টোরি এমপিদের বড় অংশ তার পাশে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরের মধ্যেই একশ এমপির সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেককে যারা প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে অংশ নিতে চান। তিন জন হয়ে গেলে ওইদিনই ভোট দিয়ে একজনকে বাদ দেবেন দলীয় এমপিরা। শুক্রবারের মধ্যে নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে কনজারভেটিভ পার্টিকে। সূত্র: এনডিটিভি