আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিন বছর আগে উত্তর কোরিয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়া লিয়াজোঁ অফিসের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ সাড়ে ৩ কোটি ডলার চেয়ে মামলা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। অস্ত্র কর্মসূচিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী সিউলের মধ্যকার সম্পর্কে ফাটল যে আরো গভীর হয়েছে বুধবারের এই মামলাই তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। দুই কোরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে উত্তরের অংশে কায়েসংয়ে ঐ লিয়াজোঁ অফিসটি স্থাপন করা হয়েছিল।

দক্ষিণের অপপ্রচারমূলক কর্মকাণ্ডের পালটা প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর ২০২০ সালে পিয়ংইয়ং কার্যালয়টি গুঁড়িয়ে দেয়। মামলাটি করা হয়েছে সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট আদালতে, এটাই উত্তরের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের প্রথম মামলা, বলেছেন এক কর্মকর্তা। উত্তর কোরিয়া সাধারণত বিদেশি সাংবাদিকদের করা কোনো প্রশ্নের জবাব দেয় না।

দক্ষিণের মামলার প্রতিক্রিয়ায় তাদের তাত্ক্ষণিক কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা নিরসন ও একে অপরের কাছাকাছি আসার লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প নিয়ে প্রত্যাশা থেকে ঐ লিয়াজোঁ কার্যালয়টি খোলা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, ধ্বংস হওয়া ঐ কার্যালয় এবং তার কাছেই অবস্থিত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত একটি ১৫ তলা ভবনের জন্য তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি ডলার। ঐ ১৫ তলা ভবনেই দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা থাকতেন।

সিউলের ভাষ্য, ভবন গুঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়া ‘সহিংস’ ও ‘বেআইনি’ কাজ করেছে, যা আস্থা নষ্ট করেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও এর জনগণের সম্পদের অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ কার্যত এখনো শেষ হয়নি। ১৯৫০-৫৩ সালের ঐ যুদ্ধ কোনো শান্তিচুক্তি নয়, অস্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে থেমেছিল। পারমাণবিক অস্ত্রধর উত্তর কোরিয়া গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রও আছে। উত্তরের এই অস্ত্র কর্মসূটি দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রেরও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক
সুমি/হককথা