নিউইয়র্ক ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঈদ : ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় মহামারি পেরোনোর স্বস্তি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৫৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  বিশ্বে প্রাণঘাতী রোগ করোনায় দৈনিক আক্রান্ত-মৃতের হার হ্রাস পাচ্ছে প্রতিদিনই, কিন্তু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই মুসলিম অধ্যুষিত দেশের জনগণ করোনা মহমারির প্রথম তিন বছরের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি। ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরেও সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তারা।

জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহাসিক ঈদগা’ সুন্দে কেলাপা। রাজধানী জাকার্তার উত্তরাংশে অবস্থিত এই ঈদগাহে প্রতি বছরের দুই ঈদে শত শত পুরুষ ও নারী মুসলিম নামাজ আদায় করতে আসেন। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই ঈদগা’টি বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ফের খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দে কেলাপা।

দীর্ঘ তিন বছর পর সুন্দে পেকলায় নামাজ আদায় করতে আসা লায়লা (৩৫) নামের এক নারী রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা করোনা বিধিনিষেধ থেকে মুক্তি পেয়েছে, এতে আমি খুবই খুশি।’

৩০ বছর বয়সী মুসলিম যুবক অদিত চান্দ্রাওে একই উদ্দেশে এসেছেন সুন্দে কেলাপায়। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছি। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামের বাড়ি যেতে পারিনি। এ বছর জামাত শেষ করেই (গ্রামের বাড়ি) যাব।’

ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী মালয়েশিয়াও মুসলিম অধ্যুষিত এবং এই দেশের মুসলিমদের ঈদুল ফিতরের প্রতিক্রিয়ায়তেও ঘুরে ফিরে এসেছে করোনা মহামারি।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী খাইরুল সোরইয়াতি, ‘মহামারির ২ বছর আমরা আমাদের বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারিনি…একটা ভয়-শঙ্কা আমাদের ঘিরে থাকত; কিন্তু এখন আর সেই বাধা নেই।’

কুয়ালালামপুরের আরেক বাসিন্দা মুহদ নূর আফহাম চাকরিসূত্রে থাকেন সিঙ্গাপুর, কিন্তু তার পরিবারের সবাই থাকেন কুয়ালালামপুরেই। মহামারির প্রথম তিন বছর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেননি তিনি।

‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গেল ঈদগুলোতে কেবল ভিডিকলে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছিলাম।’-সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাছরিন/হক কথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ঈদ : ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় মহামারি পেরোনোর স্বস্তি

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  বিশ্বে প্রাণঘাতী রোগ করোনায় দৈনিক আক্রান্ত-মৃতের হার হ্রাস পাচ্ছে প্রতিদিনই, কিন্তু দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই মুসলিম অধ্যুষিত দেশের জনগণ করোনা মহমারির প্রথম তিন বছরের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি। ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরেও সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন তারা।

জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহাসিক ঈদগা’ সুন্দে কেলাপা। রাজধানী জাকার্তার উত্তরাংশে অবস্থিত এই ঈদগাহে প্রতি বছরের দুই ঈদে শত শত পুরুষ ও নারী মুসলিম নামাজ আদায় করতে আসেন। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই ঈদগা’টি বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ফের খুলে দেওয়া হয়েছে সুন্দে কেলাপা।

দীর্ঘ তিন বছর পর সুন্দে পেকলায় নামাজ আদায় করতে আসা লায়লা (৩৫) নামের এক নারী রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা করোনা বিধিনিষেধ থেকে মুক্তি পেয়েছে, এতে আমি খুবই খুশি।’

৩০ বছর বয়সী মুসলিম যুবক অদিত চান্দ্রাওে একই উদ্দেশে এসেছেন সুন্দে কেলাপায়। তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর ব্যাপক বিধিনিষেধের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হয়েছি। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামের বাড়ি যেতে পারিনি। এ বছর জামাত শেষ করেই (গ্রামের বাড়ি) যাব।’

ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী মালয়েশিয়াও মুসলিম অধ্যুষিত এবং এই দেশের মুসলিমদের ঈদুল ফিতরের প্রতিক্রিয়ায়তেও ঘুরে ফিরে এসেছে করোনা মহামারি।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী খাইরুল সোরইয়াতি, ‘মহামারির ২ বছর আমরা আমাদের বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারিনি…একটা ভয়-শঙ্কা আমাদের ঘিরে থাকত; কিন্তু এখন আর সেই বাধা নেই।’

কুয়ালালামপুরের আরেক বাসিন্দা মুহদ নূর আফহাম চাকরিসূত্রে থাকেন সিঙ্গাপুর, কিন্তু তার পরিবারের সবাই থাকেন কুয়ালালামপুরেই। মহামারির প্রথম তিন বছর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসতে পারেননি তিনি।

‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। গেল ঈদগুলোতে কেবল ভিডিকলে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরেছিলাম।’-সূত্র : ঢাকা পোস্ট

নাছরিন/হক কথা