নিউইয়র্ক ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে ৪২ সাংবাদিক নিহত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪ বার পঠিত

ছবি সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ এমএডিএ আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দায়িত্ব পালন করছিলেন সারি মানসুর এবং হাসুনেহ সেলিম। সে সময়ই তারা হামলায় নিহত হন।

দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক।

১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন সংঘাতে সাংবাদিক হতাহতের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশ করে আসছে সিপিজে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে যে কোনো সংঘাতে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন গত এক মাসে গাজায় তার চেয়ে বেশি সাংবাদিকের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের আল আমাল হাসপাতালে বিদ্যুৎ এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত ৬ দিন ধরে ওই হাসপাতালটি পানি এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পুরো গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই খাবার, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে গেছে।

অপরদিকে উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে খান ইউনিসে আশ্রয় নেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন নিদের্শনার ফলে দক্ষিণাঞ্চল থেকেও লোকজনকে সরে যেতে হচ্ছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজারই শিশু।

শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। কিন্তু খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরায়েল। সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেন, আমরা লোকজনকে অন্যত্র চলে যেতে বলছি কারণ আমরা চাই না বেসামরিক মানুষজন ক্রসফায়ারে মারা যাক। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিমূর্ল করতে ওই শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনীর।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে ৪২ সাংবাদিক নিহত

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রাতভর ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ এমএডিএ আল জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দায়িত্ব পালন করছিলেন সারি মানসুর এবং হাসুনেহ সেলিম। সে সময়ই তারা হামলায় নিহত হন।

দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি, চারজন ইসরায়েলি এবং একজন লেবাননের নাগরিক।

১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন সংঘাতে সাংবাদিক হতাহতের তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশ করে আসছে সিপিজে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১৯৯২ সালের পর থেকে যে কোনো সংঘাতে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছেন গত এক মাসে গাজায় তার চেয়ে বেশি সাংবাদিকের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরের আল আমাল হাসপাতালে বিদ্যুৎ এবং পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গত ৬ দিন ধরে ওই হাসপাতালটি পানি এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

পুরো গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালেই খাবার, পানি, জ্বালানি এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাসপাতালের কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে গেছে।

অপরদিকে উত্তর গাজার পর এবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর ছাড়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে খান ইউনিসে আশ্রয় নেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন নিদের্শনার ফলে দক্ষিণাঞ্চল থেকেও লোকজনকে সরে যেতে হচ্ছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে একেবারে নির্মূল করে ফেলাই হচ্ছে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচ হাজারই শিশু।

শনিবার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। কিন্তু খান ইউনিসে লিফলেট বিতরণ করেছে ইসরায়েল। সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক রেজেভ বলেন, আমরা লোকজনকে অন্যত্র চলে যেতে বলছি কারণ আমরা চাই না বেসামরিক মানুষজন ক্রসফায়ারে মারা যাক। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ টানেলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধাদের নিমূর্ল করতে ওই শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরকার হতে পারে ইসরায়েলি বাহিনীর।

হককথা/নাছরিন