ইসরায়েলের দিকে ‘তাক করা’ হিজবুল্লাহর দেড়-দুই লাখ রকেট
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
- / ৬৯ বার পঠিত
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : গাজা যুদ্ধের মধ্যেই ইসরায়েলের উত্তর দিকে লেবানন ও সিরিয়া সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে কয়েক দফা হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ লেবাননে ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। এই মূল্যায়নে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে দেড় থেকে দুই লাখ রকেট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহর কাছে আছে অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের বিপুল ভান্ডার। নিয়মিত সৈন্য ছাড়াও তাদের আছে রিজার্ভ সৈন্য। তাদের যোদ্ধার সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে এক লাখ। আরও রয়েছে রাদওয়ান বাহিনী, যেটি সিরিয়া সংঘাত থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া কমান্ডো ইউনিট। এই ইউনিটে সদস্য সংখ্যা আড়াই হাজার বা তারও বেশি বলে বিশ্বাস করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিজবুল্লাহ শিয়া অ্যাক্টিভিস্টদের কাছ থেকে প্রত্যক্ষ সমর্থন পেয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান পাকিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক থেকেও সমর্থন আসে।
প্রতিবেদনে হিজবুল্লাহর আক্রমণের চটুল উপায়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। গোষ্ঠীটির কাছে দেড় থেকে দুই লাখ রকেট, সাব-মেশিন গান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অত্যন্ত নির্ভুল ও ধ্বংসাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক মজুত রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর কাছে ৪০ হাজারের মতো স্বল্পপাল্লার (১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার) রকেট, প্রায় ৮০ হাজার মাঝারি থেকে দূরপাল্লার রকেট যেমন ফজর ৩ ও ৫ এবং ৩০ হাজারের মতো দূরপাল্লার (২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার) রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। গোষ্ঠীটি সিরিয়া থেকে দূরপাল্লার (৭০০ কিলোমিটার) স্কাড সি ও ডি রকেট রয়েছে।
সুনির্দিষ্ট জিপিএস-ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেমে সজ্জিত কয়েকটি ফাতাহ ১১০ প্রজেক্টাইল (এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র) রয়েছে, সেটি ৫০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। এটি নির্ভুলভাবে ধ্বংস চালানোর ক্ষমতাসম্পন্ন।
হিজবুল্লাহর কাছে আছে চীনের সি৮০২ সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাশিয়ার ইয়াখন্ত ক্ষেপণাস্ত্র। আরও আছে, অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র করনেট, যেটি মর্টার বোমা ছুড়তে পারে। পাশাপাশি এসএ-১৭ ও এসএ-২২ অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট ক্ষেপণাস্ত্রও আছে, যেটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রতিবেদনে হিজবুল্লাহর কাছে মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত যান (ইউএভি) থাকার কথাও বলা হয়েছে। বেশির ভাগই তাদের নিজেদের তৈরি। এগুলো হামলা ও গোয়েন্দা অভিযানের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ভিন্নভিন্ন কৌশলগত কারণে গোষ্ঠীটির হাতে শত শত ড্রোন রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, হিজবুল্লাহর ক্ষমতা ডিজিটাল ও ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ডোমেইনেও বিস্তৃত। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট