নিউইয়র্ক ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান ইরানের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৮৯ বার পঠিত

ছবি: সংগৃহীত

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে ওআইসি (ইসলামী দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা) এবং আরব লীগের যৌথ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের আরব নেতারা। সম্মেলনে মুসলিম দেশ গুলোর প্রতি ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এছাড়া, সম্মেলন থেকে আরব নেতারা গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে জাতিসংঘের একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব দাবি করেছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরি সম্মেলনে বসেন আরব লিগ (২২ সদস্য দেশ) ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য (৫৭) দেশের নেতারা। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ঘিরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভের মধ্যে এ জরুরি সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

সম্মেলনের পর এক চূড়ান্ত ঘোষণায় নেতারা গাজায় সামরিক অভিযান ও বিমান হামলার ন্যায্যতা হিসেবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি তারা।

এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মুসলিম দেশগুলোর প্রতি ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞার আরোপের আহ্বান জানান। সম্মেলনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ বলেন, ‘আমাদের হাতে যদি ইসরায়েলকে চাপে ফেলার মতো কিছু না থাকে, তবে আমরা যে পদক্ষেপই নিই বা যে বক্তব্যই দিই, কোনো কাজে আসবে না।’

সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া, সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি লজ্জার বিষয় যে পশ্চিমা দেশগুলো, যারা সব সময় মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, তারা ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যা নিয়ে আজ নিশ্চুপ।’

এদিকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আরব কূটনীতিক জানিয়েছেন, সম্মেলনে আলজেরিয়া, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলসহ এর মিত্রদের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধে হুমকি প্রদানের প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব লিগের যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তা ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয় তারা। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ অন্তত তিনটি দেশ এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে সর্বসম্মত ঐকমত্যের যে অভাব, তা নিয়ে মোটেও অবাক নন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কায়রো সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রাবহা সাইফ আলম। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্র এবং ইরান ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে যে বিভক্তি, তার রাতারাতি সমাধান হবে না।’

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান ইরানের

প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে ওআইসি (ইসলামী দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা) এবং আরব লীগের যৌথ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে যোগ দেন বিভিন্ন দেশের আরব নেতারা। সম্মেলনে মুসলিম দেশ গুলোর প্রতি ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এছাড়া, সম্মেলন থেকে আরব নেতারা গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করতে জাতিসংঘের একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব দাবি করেছেন। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে শনিবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে জরুরি সম্মেলনে বসেন আরব লিগ (২২ সদস্য দেশ) ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য (৫৭) দেশের নেতারা। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ঘিরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভের মধ্যে এ জরুরি সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

সম্মেলনের পর এক চূড়ান্ত ঘোষণায় নেতারা গাজায় সামরিক অভিযান ও বিমান হামলার ন্যায্যতা হিসেবে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি তারা।

এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মুসলিম দেশগুলোর প্রতি ইসরায়েলের ওপর তেল ও পণ্য নিষেধাজ্ঞার আরোপের আহ্বান জানান। সম্মেলনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ বলেন, ‘আমাদের হাতে যদি ইসরায়েলকে চাপে ফেলার মতো কিছু না থাকে, তবে আমরা যে পদক্ষেপই নিই বা যে বক্তব্যই দিই, কোনো কাজে আসবে না।’

সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া, সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি লজ্জার বিষয় যে পশ্চিমা দেশগুলো, যারা সব সময় মানবাধিকার ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে, তারা ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যা নিয়ে আজ নিশ্চুপ।’

এদিকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আরব কূটনীতিক জানিয়েছেন, সম্মেলনে আলজেরিয়া, লেবাননসহ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলসহ এর মিত্রদের জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধে হুমকি প্রদানের প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে আরব লিগের যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তা ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয় তারা। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ অন্তত তিনটি দেশ এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মত দেওয়ায় তা বাতিল করা হয়।

অন্যদিকে, ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে সর্বসম্মত ঐকমত্যের যে অভাব, তা নিয়ে মোটেও অবাক নন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কায়রো সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রাবহা সাইফ আলম। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্র এবং ইরান ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে যে বিভক্তি, তার রাতারাতি সমাধান হবে না।’

হককথা/নাছরিন