নিউইয়র্ক ০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরাইলের দখলে হামাসের ‘বিশেষ টানেল’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৫ বার পঠিত

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর গাজায় হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেলের প্রায় ৩০ শতাংশ ধ্বংস করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মঙ্গলবার আইডিএফ ইসরাইলের দখলকৃত হামাসের একটি বিশেষ টানেল সম্পর্কে বিশদ তথ্য উন্মোচন করেছে। এই বিশেষ টানেলটি হামাসের ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তর ছিল বলে মনে করছে তারা। বিস্তৃত ছিল গাজা সিটির হামাসের মাটির ওপরের সামরিক হাইকমান্ড অঞ্চল থেকে ভূগর্ভস্থ অঞ্চল পর্যন্ত।

টানেলটিতে গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ লুকিয়ে ছিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই টানেলটি দখল করেছিল ইসরাইল। দ্য জেরুজালেম পোস্ট।

হামাসের এই বিশেষ টানেলটি মাটির নিচে ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অক্সিজেন, এয়ার কন্ডিশনার ও অন্যান্য ভ‚গর্ভস্থ মিনি কমান্ড সেন্টারের তুলনায় আরও উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত ছিল এতে। একটি লিফটের ব্যবস্থাও ছিল টানেলটিতে। ধারণক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ প্রায় সাতজন পর্যন্ত। এতে বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও যুক্ত ছিল।

হামাসের সামরিক হাইকমান্ড অঞ্চল ও এরসঙ্গে সংযুক্ত টানেল নেটওয়ার্ক দখলের সময় ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০১ ও গিভাতি ইউনিটের সৈন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

টানেলটিতে হামলা চালিয়ে প্রথমে হামাসের সব দূরপাল্লার কর্নেট অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয় আইডিএফ। এরপর তারা উত্তর গাজার বেত-লাহিয়া শহরের আল-আতাত্রা দিয়ে প্রবেশ করে হামাসের কমান্ড সেন্টারে যায়। একে একে দখলে নেয় হামাসের সামরিক কোয়াার্টার, বিশাল ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক ও সেই সঙ্গে একটি নৌ-কমান্ড সেন্টার, বদর কমান্ড সেন্টার। হামাসের নৌ-কমান্ড সেন্টারে প্রায় ২০ মিটার নিচে লুকানো উল্লেখযোগ্য অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য লুকানো ছিল বলেও জানিয়েছে ইসরাইল। সূত্র : যুগান্তর

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরাইলের দখলে হামাসের ‘বিশেষ টানেল’

প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত উত্তর গাজায় হামাসের ভূগর্ভস্থ টানেলের প্রায় ৩০ শতাংশ ধ্বংস করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মঙ্গলবার আইডিএফ ইসরাইলের দখলকৃত হামাসের একটি বিশেষ টানেল সম্পর্কে বিশদ তথ্য উন্মোচন করেছে। এই বিশেষ টানেলটি হামাসের ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তর ছিল বলে মনে করছে তারা। বিস্তৃত ছিল গাজা সিটির হামাসের মাটির ওপরের সামরিক হাইকমান্ড অঞ্চল থেকে ভূগর্ভস্থ অঞ্চল পর্যন্ত।

টানেলটিতে গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ লুকিয়ে ছিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই টানেলটি দখল করেছিল ইসরাইল। দ্য জেরুজালেম পোস্ট।

হামাসের এই বিশেষ টানেলটি মাটির নিচে ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। অক্সিজেন, এয়ার কন্ডিশনার ও অন্যান্য ভ‚গর্ভস্থ মিনি কমান্ড সেন্টারের তুলনায় আরও উন্নত যোগাযোগের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত ছিল এতে। একটি লিফটের ব্যবস্থাও ছিল টানেলটিতে। ধারণক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ প্রায় সাতজন পর্যন্ত। এতে বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাও যুক্ত ছিল।

হামাসের সামরিক হাইকমান্ড অঞ্চল ও এরসঙ্গে সংযুক্ত টানেল নেটওয়ার্ক দখলের সময় ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০১ ও গিভাতি ইউনিটের সৈন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

টানেলটিতে হামলা চালিয়ে প্রথমে হামাসের সব দূরপাল্লার কর্নেট অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয় আইডিএফ। এরপর তারা উত্তর গাজার বেত-লাহিয়া শহরের আল-আতাত্রা দিয়ে প্রবেশ করে হামাসের কমান্ড সেন্টারে যায়। একে একে দখলে নেয় হামাসের সামরিক কোয়াার্টার, বিশাল ভূগর্ভস্থ নেটওয়ার্ক ও সেই সঙ্গে একটি নৌ-কমান্ড সেন্টার, বদর কমান্ড সেন্টার। হামাসের নৌ-কমান্ড সেন্টারে প্রায় ২০ মিটার নিচে লুকানো উল্লেখযোগ্য অস্ত্র ও গোয়েন্দা তথ্য লুকানো ছিল বলেও জানিয়েছে ইসরাইল। সূত্র : যুগান্তর