নিউইয়র্ক ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
তেহরানের পাল্টা বার্তা : মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে পারমাণবিক উত্তেজনা

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সফল হামলার দাবী ট্রাম্পের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ১৩ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান- এই তিনটি কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে চালানো হয় বিস্ফোরক হামলা, যা ‘অত্যন্ত সফল’ ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে এবং এখন দেশে ফেরার পথে।
ফোরদো স্থাপনায় ‘সম্পূর্ণ অস্ত্রবোঝাই বোমা’ ফেলা হয়েছে বলে দাবী করেন ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘বিশ্বের আর কোনো সেনাবাহিনী এমন অভিযান চালাতে পারত না। এখন শান্তির সময়।’ তবে এই ঘোষণার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার জবাবে দ্রæত প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরান দাবি করেছে, হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ফোরদো থেকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপকরণ ও যন্ত্রাংশ। ফলে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মদী জানান, ফোরদো অনেক আগেই খালি করা হয়েছিল এবং বোমার আঘাতে স্থাপনাটি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েনি।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানকে বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না, আর এই যুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা থেকে বোঝা যায়- যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যতটা জোরালো, ইরানের আত্মবিশ্বাসও ততটাই অটুট।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (ISW) ও ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (CTP) এর আগে যৌথভাবে এক মূল্যায়নে বলেছিল, ইরান ইসলামিক রেভল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (IRGC) শীর্ষ পর্যায় থেকে আগেই পারমাণবিক সরঞ্জাম সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে এই হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন হামলা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও ট্রাম্প ‘শান্তির সময়’ আসার ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করছে তারা সহজে পিছু হটতে রাজি নয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে- এই সংঘর্ষের রেশ কি সরাসরি সামরিক সংঘাতে গড়াবে? না কি আন্তর্জাতিক কূটনীতি আবারও কোনো সমঝোতার পথ দেখাবে? তবে এটুকু নিশ্চিত, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে এখন অস্থিরতা জমাট বাঁধছে। বিশ্ব নজর রাখছে তেহরান ও ওয়াশিংটনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তেহরানের পাল্টা বার্তা : মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে পারমাণবিক উত্তেজনা

ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সফল হামলার দাবী ট্রাম্পের

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান- এই তিনটি কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে চালানো হয় বিস্ফোরক হামলা, যা ‘অত্যন্ত সফল’ ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে এবং এখন দেশে ফেরার পথে।
ফোরদো স্থাপনায় ‘সম্পূর্ণ অস্ত্রবোঝাই বোমা’ ফেলা হয়েছে বলে দাবী করেন ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘বিশ্বের আর কোনো সেনাবাহিনী এমন অভিযান চালাতে পারত না। এখন শান্তির সময়।’ তবে এই ঘোষণার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার জবাবে দ্রæত প্রতিক্রিয়া জানায় তেহরান। ইরান দাবি করেছে, হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই ফোরদো থেকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপকরণ ও যন্ত্রাংশ। ফলে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মদী জানান, ফোরদো অনেক আগেই খালি করা হয়েছিল এবং বোমার আঘাতে স্থাপনাটি অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েনি।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানকে বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না, আর এই যুদ্ধে আমরাই জয়ী হবো।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা থেকে বোঝা যায়- যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যতটা জোরালো, ইরানের আত্মবিশ্বাসও ততটাই অটুট।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (ISW) ও ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (CTP) এর আগে যৌথভাবে এক মূল্যায়নে বলেছিল, ইরান ইসলামিক রেভল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (IRGC) শীর্ষ পর্যায় থেকে আগেই পারমাণবিক সরঞ্জাম সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এদিকে এই হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এমন হামলা ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও ট্রাম্প ‘শান্তির সময়’ আসার ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করছে তারা সহজে পিছু হটতে রাজি নয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে- এই সংঘর্ষের রেশ কি সরাসরি সামরিক সংঘাতে গড়াবে? না কি আন্তর্জাতিক কূটনীতি আবারও কোনো সমঝোতার পথ দেখাবে? তবে এটুকু নিশ্চিত, মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে এখন অস্থিরতা জমাট বাঁধছে। বিশ্ব নজর রাখছে তেহরান ও ওয়াশিংটনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।