ইরানে পুতিন, এর্দোয়ান, রাইসির বৈঠক

- প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
- / ১০০ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানও ইরানে। ইরানের নেতাদের পাশাপাশি এর্দোয়ানের সঙ্গে কথা হবে পুতিনের। ত্রিপাক্ষিক আলোচনাও হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর পুতিন একদা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত দুই দেশে সফর করেছেন। কিন্তু তার বাইরে এই প্রথম তিনি কোনো দেশে গেলেন। তার এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পশ্চিমা দেশগুলি এখন রাশিয়ার অর্থনীতিকে অচল করে দেয়ার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে তারা মস্কোকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় পুতিন চীন, ইরান এবং ভারতের আরো কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন।
মাত্র তিনদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি আরব সফর করে গেছেন। তারপরই পুটিনতেহরান যাচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেইয়ের সঙ্গে তার পঞ্চম বৈঠক করার জন্য। পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা ইউরি উসাকভ মস্কোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতৈক্য গড়ে তোলাই পুতিনের সফরের উদ্দেশ্য। অধিকাংশ বিষয়েই দুই নেতার অবস্থান এক বা প্রায় এক।
পুতিন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন ১৯৭৫ সালে৷ আশির দশকে তিনি কেজিবি এজেন্ট হিসেবে জার্মানির ড্রেসডেনে কর্মরত ছিলেন৷ বার্লিন ওয়ালের পতনের পর রাশিয়ায় ফিরে গিয়ে বরিস ইয়েলৎসিনের ক্রেমলিনে প্রবেশ করেন তিনি৷ ইয়েলৎসিন তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পুটিনের নাম ঘোষণা করলে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়৷
এর্দোয়ান মঙ্গলবার সকালে তেহরান পৌঁছে গেছেন। আলজাজিরা জানাচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং এর্দোয়ানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সিরিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে কথা হবে। এছাড়া আলাদাভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। রাইসি ও পুতিনের মধ্যে আলোচনায় ইরানের পরমাণু চুক্তি গুরুত্ব পাবে।
সিরিয়া নিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তুরস্কের মতভেদ আছে। রাশিয়া ও ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করে। তুরস্ক জানিয়েছে, তারা শীঘ্রই উত্তর সিরিয়ার দুইটি শহরে সামরিক অভিযান চালাবে। সেই অভিযানের উদ্দেশ্য হবে সশস্ত্র কুর্দি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান ১৪ বছর পর সৌদি আরব সফরে গেলেন। এর্দোয়ানের অফিস জানিয়েছে, সৌদির রাজা সালমানের আমন্ত্রণেই তার এই সফর। উপরের ছবিটি সৌদিতে পৌঁছাবার পর বিমানবন্দরে এর্দোয়ান।
ইরান সফরের মধ্য দিয়ে পুতিন একটি বার্তা পাঠাতে চাইছেন। তা হলো, অ্যামেরিকার শত্রু দেশ ইরানের সঙ্গে রাশিয়া এখন সম্পর্ক আরো ভালো করতে চাইছে। সফরের আগে পুতিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া ও ইরান দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে।
তেহরানের কাছেও রাশিয়ার সমর্থন জরুরি। কারণ, অ্যামেরিকা, ইসরায়েল ও একাধিক আরব দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো নয়। ইরানের এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, ”মস্কো হলো সুপারপাওয়ার। আমাদের এরকমই শক্তিশালী বন্ধু দেশ চাই।”
জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এএফপি, আলজাজিরা)
হককথা/এমউএ