নিউইয়র্ক ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইরানের প্রধান গ্যাসের পাইপলাইন নাশকতার শিকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৮ বার পঠিত

ইরানের প্রধান গ্যাসের পাইপলাইন নেটওয়ার্কে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এসব বিস্ফোরণ ঘটে। কোনও সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ না করে রাষ্ট্রীয় টিভিকে এসব কথা বলেছেন ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওউজি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাভেদ ওউজি বলেছেন, বুধবার সকালে দুটি এলাকায় জাতীয় গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনের আশেপাশের গ্রামগুলোতে শুধু গ্যাস বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরে তা মেরামত করা হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেরামত শুরুর আছে সাময়িক বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের কারণে বিভিন্ন শিল্প ও কার্যালয়ে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।

তেলমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ২০১১ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়কার নাশকতাও চারটি ভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছিল। ইরানে এমন হামলার ঘটনা বিরল। ২০১৭ সালে দেশটির আরব বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছিল তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে দুটি পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ডিসেম্বরে ইরান পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও নাশকতাকারী হিসেবে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মোসাদের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে তেহরান। নিজেদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচিতে ইসরায়েল হামলা করছে অভিযোগ করে আসছে ইরান। তবে তেল আবিব কখনও এমন অভিযোগ অস্বীকার বা স্বীকার করেনি। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইরানের প্রধান গ্যাসের পাইপলাইন নাশকতার শিকার

প্রকাশের সময় : ০৭:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইরানের প্রধান গ্যাসের পাইপলাইন নেটওয়ার্কে দুটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এসব বিস্ফোরণ ঘটে। কোনও সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ না করে রাষ্ট্রীয় টিভিকে এসব কথা বলেছেন ইরানের তেলমন্ত্রী জাভেদ ওউজি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

জাভেদ ওউজি বলেছেন, বুধবার সকালে দুটি এলাকায় জাতীয় গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনে নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনের আশেপাশের গ্রামগুলোতে শুধু গ্যাস বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পরে তা মেরামত করা হবে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেরামত শুরুর আছে সাময়িক বিধিনিষেধ জারির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিস্ফোরণের কারণে বিভিন্ন শিল্প ও কার্যালয়ে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।

তেলমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ২০১১ সালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময়কার নাশকতাও চারটি ভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছিল। ইরানে এমন হামলার ঘটনা বিরল। ২০১৭ সালে দেশটির আরব বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছিল তারা পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশে দুটি পাইপলাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ডিসেম্বরে ইরান পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও নাশকতাকারী হিসেবে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

মোসাদের সঙ্গে কয়েক দশক ধরে ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে তেহরান। নিজেদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কর্মসূচিতে ইসরায়েল হামলা করছে অভিযোগ করে আসছে ইরান। তবে তেল আবিব কখনও এমন অভিযোগ অস্বীকার বা স্বীকার করেনি। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।