নিউইয়র্ক ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইমরান ছিলেন ত্রাণকর্তা, হলেন শত্রু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
  • / ৬৪ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেক বছর ধরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিশ্বাস করেছে যে, দেশের ত্রাণকর্তা হিসেবে তারা ইমরান খানকে খুঁজে পেয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফ অনলাইন বিবিসিতে লিখেছেন- মাত্র এক বছর তিনি ক্ষমতায় থাকার পরই তারা মনে করেছে তিনি হুমকি হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যদিয়ে তিনি তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। ফলে ইমরান খানের ক্ষোভ থেকে নিজেদের রক্ষা পেতে সবরকম শক্তি ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। তিনি আরও লিখেছেন, ইমরান খান ও তার দল যখন দেশজুড়ে দমনপীড়নের মুখে, তখন পাকিস্তান দৃশ্যত স্তব্ধ হয়ে আছে। দেশটি ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি এবং ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রীষ্ম মোকাবিলা করছে। অব্যাহতভাবে ঘটছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এরপর ইমরান খান কী করবেন তা নিয়ে পুরো দেশ জল্পনাকল্পনা করছে। সোনাবাহিনী তাকে বিরত রাখতে কী কী করছে, সেদিকেও দেশবাসীর দৃষ্টি। এক বছরের বেশি আগে ক্ষমতা থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দেয়ার পর তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ইমরান খানই তাদের ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা। যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে দেশ জ্বলবে।

ওদিকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়ার পর আধাসামরিক বাহিনী ৯ই মে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুরো দেশ জ্বলতে থাকে। ইমরান খানের সমর্থকরা সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর, জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স সম্ভবত পাকিস্তানে সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান। সেখানকার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন তার সমর্থকরা।
সেনাবাহিনীর লোগো থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেছে। লাহোরে একজন সিনিয়র জেনারেলের বাসা তছনছ করা হয়েছে। ইমরান খানের সমর্থকদের ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই কর্মকর্তার বাসার আসবাবপত্রে এবং গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। একজন বিক্ষোভকারী ওই জেনারেলের ইউনিফর্ম পরে বেরিয়ে যায়। আরেকজন তার পোষা ময়ূর নিয়ে যায়। সবদিক দিয়ে এটা ছিল এক বিপ্লব। তবে বিপ্লব বলা হলেও তা বিপ্লব না। প্রথমবার সেনাবাহিনীর ভালোবাসা পেয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর তারা তাকে পরিহার করে। এখন তার সমর্থকরা জড়িয়ে পড়েছে। এতে বিপ্লব ছিল কম। ভালোবাসার বিরোধ ছিল। পাকিস্তানে প্রতিজন প্রধানমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী সরিয়ে দেবে। এটা যেন একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। তার মেয়ে বেনজির ভুট্টোকে দু’বার প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

তাকে একজন টিনেজার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হত্যা করেছে। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কখনো হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে জেল দেয়া হয়েছিল। পরে তিনি নির্বাসনে চলে যান। এখন আবার তিনি নির্বাসনে। তবে তার ছোট ভাই শেহবাজ শরীফের মাধ্যমে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে দেশ শাসন করছেন। কিন্তু দেশে ফিরতে পারছেন না। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর তার সমর্থকরা যা করেছেন, তা পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো মূলধারার রাজনৈতিক শক্তি করেনি। রাজপথের দখল নেয়ার পরিবর্তে তারা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে পড়ে। নাগরিকদেরকে তারা দেখায় পাকিস্তানি জেনারেলরা কীভাবে বসবাস করেন। তাদের আছে সুইমিংপুল সহ বিশাল সব ম্যানসন। তার মধ্যে আছে লন। সেখানে ময়ূর পায়চারী করে।

আরোও পড়ুন । ইরান-আফগান সীমান্তে হঠাৎ উত্তেজনা, ইরানের দুই সীমান্তরক্ষী নিহত

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার ঠিক আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে তিনি চিহ্নিত করেছিলেন তার রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করে দেয়ার ব্যক্তি হিসেবে। এর আগে ইমরান খানকে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আনা এবং তাকে ক্ষমতায় ধরে রাখার জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাভেদ কমর বাজওয়াকে। কিন্তু আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে সেই জেনারেল বাজওয়াকে ইমরান একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন। এখানেই শেষ নয়। ইমরান খানকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র একজন জেনারেলের নাম উল্লেখ করে তাকে দায়ী করেন। তিনি এবং তার সমর্থকরা ওই জেনারেলকে ‘ডার্টি হ্যারি’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন র‌্যালিতে।

অতীতে বহু পাকিস্তানি রাজনীতিক সেনাবাহিনীকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নামকরণ করেছেন এবং তা নিয়ে তারা লজ্জাও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কোনো পাকিস্তানি কখনো কোর কমান্ডারের বাসায় আগুন জ্বলার ছবি দেখেননি। দেখেনটি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের গেটে নারী বিক্ষোভকারীদের হট্টগোল করতে। সজ্জিত সেনাদের প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলতে দেখেননি। বর্তমান পাকিস্তানে ক্ষমতায় পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার। এটি হলো ইমরান খানের বিরোধী সব দল নিয়ে গঠিত। তো, এই সরকারকে প্রকৃতপক্ষে ওইসব ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সরকার চেষ্টা করছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এড়াতে। অনেক জনমত জরিপ বলছে, এখন নির্বাচন দিলে জয়ী হতে পারেন ইমরান খান। ৯ই মে’র পরে সরকারে থাকা অনেক রাজনীতিক এখন সরাসরি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফকে বাতিল করার দাবি তুলেছে। অতীতেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এমন রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত একজন সদস্য আলি ওয়াজির। সেনাবাহিনী তালেবানদের প্রতি সদয় বলে তার অভিযোগ। তাকে দু’বছর জেল খাটতে হয়েছে। কখনো জাতীয় পরিষদে যোগও দিতে পারেননি। বেলুচিস্তানের কয়েক হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে জোরপূর্বক গুম করে দেয়া হয়েছে। তাদের কী হয়েছে তা জানার কোনো আগ্রহ পাকিস্তানের কোনো আদালত বা মূলধারার রাজনৈতিক দলের নেই। সূত্র : মানবজমিন

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইমরান ছিলেন ত্রাণকর্তা, হলেন শত্রু

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অনেক বছর ধরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বিশ্বাস করেছে যে, দেশের ত্রাণকর্তা হিসেবে তারা ইমরান খানকে খুঁজে পেয়েছে। লেখক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ হানিফ অনলাইন বিবিসিতে লিখেছেন- মাত্র এক বছর তিনি ক্ষমতায় থাকার পরই তারা মনে করেছে তিনি হুমকি হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যদিয়ে তিনি তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। ফলে ইমরান খানের ক্ষোভ থেকে নিজেদের রক্ষা পেতে সবরকম শক্তি ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী। তিনি আরও লিখেছেন, ইমরান খান ও তার দল যখন দেশজুড়ে দমনপীড়নের মুখে, তখন পাকিস্তান দৃশ্যত স্তব্ধ হয়ে আছে। দেশটি ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি এবং ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রীষ্ম মোকাবিলা করছে। অব্যাহতভাবে ঘটছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এরপর ইমরান খান কী করবেন তা নিয়ে পুরো দেশ জল্পনাকল্পনা করছে। সোনাবাহিনী তাকে বিরত রাখতে কী কী করছে, সেদিকেও দেশবাসীর দৃষ্টি। এক বছরের বেশি আগে ক্ষমতা থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দেয়ার পর তার সমর্থকরা বলেছিলেন, ইমরান খানই তাদের ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমারেখা। যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তাহলে দেশ জ্বলবে।

ওদিকে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেয়ার পর আধাসামরিক বাহিনী ৯ই মে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুরো দেশ জ্বলতে থাকে। ইমরান খানের সমর্থকরা সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর, জেনারেল হেডকোয়ার্টার্স সম্ভবত পাকিস্তানে সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থান। সেখানকার নিরাপত্তা লঙ্ঘন করেছেন তার সমর্থকরা।
সেনাবাহিনীর লোগো থাকা সাইনবোর্ড ভাঙচুর করেছে। লাহোরে একজন সিনিয়র জেনারেলের বাসা তছনছ করা হয়েছে। ইমরান খানের সমর্থকদের ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই কর্মকর্তার বাসার আসবাবপত্রে এবং গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। একজন বিক্ষোভকারী ওই জেনারেলের ইউনিফর্ম পরে বেরিয়ে যায়। আরেকজন তার পোষা ময়ূর নিয়ে যায়। সবদিক দিয়ে এটা ছিল এক বিপ্লব। তবে বিপ্লব বলা হলেও তা বিপ্লব না। প্রথমবার সেনাবাহিনীর ভালোবাসা পেয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর তারা তাকে পরিহার করে। এখন তার সমর্থকরা জড়িয়ে পড়েছে। এতে বিপ্লব ছিল কম। ভালোবাসার বিরোধ ছিল। পাকিস্তানে প্রতিজন প্রধানমন্ত্রীকে সেনাবাহিনী সরিয়ে দেবে। এটা যেন একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। তার মেয়ে বেনজির ভুট্টোকে দু’বার প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল।

তাকে একজন টিনেজার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হত্যা করেছে। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কখনো হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে জেল দেয়া হয়েছিল। পরে তিনি নির্বাসনে চলে যান। এখন আবার তিনি নির্বাসনে। তবে তার ছোট ভাই শেহবাজ শরীফের মাধ্যমে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে দেশ শাসন করছেন। কিন্তু দেশে ফিরতে পারছেন না। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর তার সমর্থকরা যা করেছেন, তা পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো মূলধারার রাজনৈতিক শক্তি করেনি। রাজপথের দখল নেয়ার পরিবর্তে তারা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢুকে পড়ে। নাগরিকদেরকে তারা দেখায় পাকিস্তানি জেনারেলরা কীভাবে বসবাস করেন। তাদের আছে সুইমিংপুল সহ বিশাল সব ম্যানসন। তার মধ্যে আছে লন। সেখানে ময়ূর পায়চারী করে।

আরোও পড়ুন । ইরান-আফগান সীমান্তে হঠাৎ উত্তেজনা, ইরানের দুই সীমান্তরক্ষী নিহত

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার ঠিক আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে তিনি চিহ্নিত করেছিলেন তার রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস করে দেয়ার ব্যক্তি হিসেবে। এর আগে ইমরান খানকে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আনা এবং তাকে ক্ষমতায় ধরে রাখার জন্য কৃতিত্ব দেয়া হয় সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জাভেদ কমর বাজওয়াকে। কিন্তু আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে সেই জেনারেল বাজওয়াকে ইমরান একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিহিত করেন। এখানেই শেষ নয়। ইমরান খানকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার জন্য গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র একজন জেনারেলের নাম উল্লেখ করে তাকে দায়ী করেন। তিনি এবং তার সমর্থকরা ওই জেনারেলকে ‘ডার্টি হ্যারি’ হিসেবে অভিযুক্ত করেন র‌্যালিতে।

অতীতে বহু পাকিস্তানি রাজনীতিক সেনাবাহিনীকে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নামকরণ করেছেন এবং তা নিয়ে তারা লজ্জাও প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কোনো পাকিস্তানি কখনো কোর কমান্ডারের বাসায় আগুন জ্বলার ছবি দেখেননি। দেখেনটি জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সের গেটে নারী বিক্ষোভকারীদের হট্টগোল করতে। সজ্জিত সেনাদের প্রতিকৃতি ভেঙে ফেলতে দেখেননি। বর্তমান পাকিস্তানে ক্ষমতায় পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার। এটি হলো ইমরান খানের বিরোধী সব দল নিয়ে গঠিত। তো, এই সরকারকে প্রকৃতপক্ষে ওইসব ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সরকার চেষ্টা করছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এড়াতে। অনেক জনমত জরিপ বলছে, এখন নির্বাচন দিলে জয়ী হতে পারেন ইমরান খান। ৯ই মে’র পরে সরকারে থাকা অনেক রাজনীতিক এখন সরাসরি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফকে বাতিল করার দাবি তুলেছে। অতীতেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এমন রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে দ্রুততার সঙ্গে। জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত একজন সদস্য আলি ওয়াজির। সেনাবাহিনী তালেবানদের প্রতি সদয় বলে তার অভিযোগ। তাকে দু’বছর জেল খাটতে হয়েছে। কখনো জাতীয় পরিষদে যোগও দিতে পারেননি। বেলুচিস্তানের কয়েক হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে জোরপূর্বক গুম করে দেয়া হয়েছে। তাদের কী হয়েছে তা জানার কোনো আগ্রহ পাকিস্তানের কোনো আদালত বা মূলধারার রাজনৈতিক দলের নেই। সূত্র : মানবজমিন

বেলী/হককথা