পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক সন্দেহভাজন হামলাকারী।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চের বহরের মধ্যে ঢুকে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের রেকর্ড করা এক ভিডিওতে সন্দেহভাজন হামলাকারী বলেন, আমি শুধু ইমরান খানকে হত্যা করতে এসেছিলাম। আমি এটা করেছি কারণ তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এটা মেনে নিতে পারিনি। যেদিন তিনি সমাবেশ শুরু করেন সেদিন থেকেই আমি এটা করার সিদ্ধান্ত নেই। এর পেছনে আর কেউ জড়িত নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই ব্যক্তি বলেন, একদিকে আজান হচ্ছিল আর এখানে ঢাক নিয়ে হল্লা হচ্ছিল। সকাল থেকে এই হামলা নিয়ে আমি পরিকল্পনা করছিলাম।
সন্দেহভাজন হামলাকারী জানান, মোটরসাইকেলে তিনি ওয়াজিরাবাদে এসেছিলেন। সাইকেলটি তার মামার দোকানে রেখেছিলেন।
ভিডিও ফুটেজটি পুলিশ রেকর্ড করেছে বলে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আল জাজিরাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে ইমরানের খানের জ্যেষ্ঠ সহযোগী রওফ হাসানের বরাতে আলজাজিরা জানায়, ইমরান খানের ওপর হামলায় জড়িতদের ১ জন নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেসময় অপর ১ জনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
এদিকে বর্তমানে ইমরান খান হাসপাতালে শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। তার পায়ে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে।