নিউইয়র্ক ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের সেই রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকায় ১ জনের মৃত্যু

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪৫ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে শিশু এবং নারীসহ শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বহনকারী বিকল হয়ে যাওয়া একটি নৌকায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সরকার নৌকাটি মেরামতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। নৌকা মেরামতে সহায়তা করলেও রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় পাবেন না বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, রবিবার আচেহ প্রদেশের পশ্চিমের সুমাত্রা দ্বীপের সমুদ্র উপকূলের বিরুয়েন এলাকার জলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি ভাসতে দেখেন মৎসজীবীরা। নৌকাটিতে প্রায় ১২০ জন শিশু, নারী এবং পুরুষ রয়েছেন।

নৌবাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তা ডিয়ান সূর্যসায়াহ বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক নন। আমরা তাদের শরণার্থী হিসেবে দেশে আনতে পারি না। সরকারের নীতির সাথে মিল রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে খাদ্য, ওষুধ এবং পানি-সহ অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।

ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক ১৯৫১ সালের কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি। যে কারণে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে দেশটির আইনি কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের তৃতীয় কোনও দেশে পৌঁছানোর জন্য অনেক সময় শরণার্থীরা ইন্দোনেশিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে এবং সেটি নোঙ্গর করার অনুমতি দেওয়া উচিত। নৌকায় থাকা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও জীবন নিয়ে ইউএনএইচসিআর উদ্বিগ্ন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের নেতা বদরুদ্দিন ইউনুস বলেছেন, সমুদ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা গত ২৮ দিন ধরে ভাসছেন। তাদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং একজন মারাও গেছেন।

সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্র শান্ত থাকায় এই সময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিপজ্জনক সাগর পথে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকারী শরণার্থীদের সহায়তার আহ্বান জানালেও বেশিরভাগ সময় তাদের ফেরত পাঠানো হয়। গত কয়েক বছরে মিয়ানমার থেকে অন্তত কয়েকশ’ রোহিঙ্গা শরণার্থী আচেহ পৌঁছেছেন, যাদের সবাই কয়েক মাস ধরে সমুদ্রে ভাসছিলেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের সেই রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকায় ১ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১২:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার আচেহ উপকূলে শিশু এবং নারীসহ শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বহনকারী বিকল হয়ে যাওয়া একটি নৌকায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সরকার নৌকাটি মেরামতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। নৌকা মেরামতে সহায়তা করলেও রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় পাবেন না বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, রবিবার আচেহ প্রদেশের পশ্চিমের সুমাত্রা দ্বীপের সমুদ্র উপকূলের বিরুয়েন এলাকার জলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি ভাসতে দেখেন মৎসজীবীরা। নৌকাটিতে প্রায় ১২০ জন শিশু, নারী এবং পুরুষ রয়েছেন।

নৌবাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তা ডিয়ান সূর্যসায়াহ বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক নন। আমরা তাদের শরণার্থী হিসেবে দেশে আনতে পারি না। সরকারের নীতির সাথে মিল রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত নৌকা ফিরিয়ে দেওয়ার আগে খাদ্য, ওষুধ এবং পানি-সহ অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।

ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক ১৯৫১ সালের কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি। যে কারণে শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে দেশটির আইনি কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিশ্বের তৃতীয় কোনও দেশে পৌঁছানোর জন্য অনেক সময় শরণার্থীরা ইন্দোনেশিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে এবং সেটি নোঙ্গর করার অনুমতি দেওয়া উচিত। নৌকায় থাকা শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও জীবন নিয়ে ইউএনএইচসিআর উদ্বিগ্ন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়ের নেতা বদরুদ্দিন ইউনুস বলেছেন, সমুদ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা গত ২৮ দিন ধরে ভাসছেন। তাদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং একজন মারাও গেছেন।

সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্র শান্ত থাকায় এই সময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বিপজ্জনক সাগর পথে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকারী শরণার্থীদের সহায়তার আহ্বান জানালেও বেশিরভাগ সময় তাদের ফেরত পাঠানো হয়। গত কয়েক বছরে মিয়ানমার থেকে অন্তত কয়েকশ’ রোহিঙ্গা শরণার্থী আচেহ পৌঁছেছেন, যাদের সবাই কয়েক মাস ধরে সমুদ্রে ভাসছিলেন।