নিউইয়র্ক ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউরোপে অস্ত্রের ব্যবসা বেড়েছে ১৯ শতাংশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২
  • / ৬১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত পাঁচ বছরে অস্ত্রের বাণিজ্য কয়েকগুণ বেড়েছে ইউরোপে। সুইডেনভিত্তিক স্টকহোম ইন্টারন্যশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) গত পাঁচ বছরের অস্ত্র ব্যবসা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
এই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় দুই বছর করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখেছে পৃথিবী। লকডাউন হয়েছে একের পর এক দেশে।
সিপরির রিপোর্ট বলছে, এই সময়কালে বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসা চার দশমিক ছয় শতাংশ কমলেও ইউরোপের ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এর থেকেই বোঝায় যায়, গত পাঁচ বছরে ইউরোপে রাজনৈতিক উত্তেজনা কী পরিমাণ বেড়েছে।
সিপরির এই রিপোর্টে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তথ্য আছে। অর্থাৎ, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর কিছুদিন আগে পর্যন্ত তথ্য আছে রিপোর্টে। ফলে ধরেই নেওয়া যায়, গত কয়েক মাসে ইউরোপের অস্ত্র ব্যবসা আরো বেড়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপে অস্ত্র ব্যবসা বাড়তে শুরু করেছে ২০১৪ সাল থেকে। রাশিয়া ক্রিমিয়ায় হামলা চালানোর পর একাধিক দেশ সামরিক খাতের বাজেটও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
সিপরির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ইয়ান অ্যান্টনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউরোপের দেশগুলো অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে শুরু করে এবং প্রায় প্রতিটি দেশই অস্ত্রখাতে ব্যয় বাড়ায়। রিপোর্টে তার স্পষ্ট প্রতিফলন আছে।
পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রাশিয়া। কিন্তু রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রি কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এর সবচেয়ে বড় কারণ রাশিয়া থেকে ভারত ও ভিয়েতনাম অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়েছে। একসময় ভারতের প্রায় সব অস্ত্র রাশিয়া থেকে আসত। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকেও অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে রাশিয়া। তা ছায়াপাত করেছে রাশিয়ার অস্ত্রের বাজারে।
কিন্তু আগামী কয়েক বছরে ভারত আবার রাশিয়ার থেকে ভালো পরিমাণ অস্ত্র কিনতে পারে বলেও সিপরির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
জার্মানি অস্ত্র বাণিজ্যে বিশ্বের পঞ্চম শক্তি। কিন্তু পাঁচ বছরে তাদের অস্ত্র ব্যবসা কমেছে ১৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। তবে চোখে পড়ার মতো অস্ত্র ব্যবসা বেড়েছে ফ্রান্সের, ৫৯ শতাংশ।
সিপরির রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হচ্ছে, ইউরোপের অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে রাশিয়া। গত কয়েক বছরে ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন যত বেড়েছে, অস্ত্রখাতে ব্যয়ও বেড়েছে সমানুপাতিক হারে। আগামী কয়েকবছরে এই হার অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রান্স অ্যাটলানটিক সিকিউরিটি রিলেশনেও অস্ত্রের ব্যবসা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস ৭১টি এফ৩৫ যুদ্ধবিমান কিনেছে। ফিনল্যান্ড ৬৪টি ও পোল্যান্ড ৩২টি এফ৩৫ যুদ্ধবিমানের অর্ডার দিয়েছে। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউরোপে অস্ত্রের ব্যবসা বেড়েছে ১৯ শতাংশ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত পাঁচ বছরে অস্ত্রের বাণিজ্য কয়েকগুণ বেড়েছে ইউরোপে। সুইডেনভিত্তিক স্টকহোম ইন্টারন্যশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) গত পাঁচ বছরের অস্ত্র ব্যবসা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
এই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় দুই বছর করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখেছে পৃথিবী। লকডাউন হয়েছে একের পর এক দেশে।
সিপরির রিপোর্ট বলছে, এই সময়কালে বিশ্বের অস্ত্র ব্যবসা চার দশমিক ছয় শতাংশ কমলেও ইউরোপের ব্যবসা বেড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। এর থেকেই বোঝায় যায়, গত পাঁচ বছরে ইউরোপে রাজনৈতিক উত্তেজনা কী পরিমাণ বেড়েছে।
সিপরির এই রিপোর্টে ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তথ্য আছে। অর্থাৎ, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানোর কিছুদিন আগে পর্যন্ত তথ্য আছে রিপোর্টে। ফলে ধরেই নেওয়া যায়, গত কয়েক মাসে ইউরোপের অস্ত্র ব্যবসা আরো বেড়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউরোপে অস্ত্র ব্যবসা বাড়তে শুরু করেছে ২০১৪ সাল থেকে। রাশিয়া ক্রিমিয়ায় হামলা চালানোর পর একাধিক দেশ সামরিক খাতের বাজেটও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
সিপরির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ইয়ান অ্যান্টনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউরোপের দেশগুলো অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে শুরু করে এবং প্রায় প্রতিটি দেশই অস্ত্রখাতে ব্যয় বাড়ায়। রিপোর্টে তার স্পষ্ট প্রতিফলন আছে।
পুরো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপরেই রাশিয়া। কিন্তু রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার অস্ত্র বিক্রি কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। এর সবচেয়ে বড় কারণ রাশিয়া থেকে ভারত ও ভিয়েতনাম অস্ত্র কেনার পরিমাণ কমিয়েছে। একসময় ভারতের প্রায় সব অস্ত্র রাশিয়া থেকে আসত। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের থেকেও অস্ত্র কিনতে শুরু করেছে রাশিয়া। তা ছায়াপাত করেছে রাশিয়ার অস্ত্রের বাজারে।
কিন্তু আগামী কয়েক বছরে ভারত আবার রাশিয়ার থেকে ভালো পরিমাণ অস্ত্র কিনতে পারে বলেও সিপরির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
জার্মানি অস্ত্র বাণিজ্যে বিশ্বের পঞ্চম শক্তি। কিন্তু পাঁচ বছরে তাদের অস্ত্র ব্যবসা কমেছে ১৯ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বেড়েছে ১৪ শতাংশ। তবে চোখে পড়ার মতো অস্ত্র ব্যবসা বেড়েছে ফ্রান্সের, ৫৯ শতাংশ।
সিপরির রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হচ্ছে, ইউরোপের অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে রাশিয়া। গত কয়েক বছরে ইউরোপে রাশিয়ার আগ্রাসন যত বেড়েছে, অস্ত্রখাতে ব্যয়ও বেড়েছে সমানুপাতিক হারে। আগামী কয়েকবছরে এই হার অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রান্স অ্যাটলানটিক সিকিউরিটি রিলেশনেও অস্ত্রের ব্যবসা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস ৭১টি এফ৩৫ যুদ্ধবিমান কিনেছে। ফিনল্যান্ড ৬৪টি ও পোল্যান্ড ৩২টি এফ৩৫ যুদ্ধবিমানের অর্ডার দিয়েছে। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ