ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে রাশিয়াকে অস্ত্র দেবে চীন?
- প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪১ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের মতে, রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার বিষয়টি বিবেচনা করছে চীন। সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগেই রাশিয়া ও চীন ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্বের অঙ্গীকার করেছিল। ইউক্রেনের উপর হামলা সত্ত্বেও মস্কোর নিন্দা করে নি বেইজিং। উলটে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সমালোচনা করে আসছে চীন। তবে নৈতিক সমর্থন সত্ত্বেও যুদ্ধের সময়ে রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়নি বেইজিং।
সপ্তাহান্তে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেন সংকট মেটাতে চীনের কূটনৈতিক উদ্যোগের পূর্বাভাস দিয়েছেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। উল্লেখ্য, রাশিয়ার উপর প্রভাব কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন মহল চীনকে ইউক্রেন সংকট অবসানের প্রচেষ্টার অনুরোধ করে এসেছে। চীনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানানোর বদলে সে দেশের ‘আসল উদ্দেশ্য’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানান, চীন রাশিয়াকে ‘লিথাল অ্যাসিস্টেন্স’ বা প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এমন সন্দেহের কারণ অবশ্য প্রকাশ্যে উল্লেখ করেন নি তিনি। আমেরিকার এনবিএস নেটওয়ার্ককে ব্লিংকেন আরও জানান, যুদ্ধ শুরু হবার পর চীন এখনো পর্যন্ত রাশিয়াকে এমন অস্ত্র সরবরাহ করেনি বলে ওয়াশিংটন মনে করে।
আরোও পড়ুন। চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ায় দ. আফ্রিকা
বেইজিং এবার সত্যি এমন পদক্ষেপ নিলে চীন ও আমেরিকার সম্পর্কে কঠিন সমস্যা দেখা যাবে বলে তিনি চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। আমেরিকার আকাশে চীনা ‘গুপ্তচর’ বেলুন ধ্বংসের জের ধরে বেইজিং সফর বাতিল করার পর ব্লিংকেন মিউনিখে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। আমেরিকার রিপাবলিকান দলের প্রভাবশালী সেনেটন লিন্ডসে গ্রাহাম মিউনিখে জানান, চীন সত্যি এমন পদক্ষেপ নিলে সেটা সত্যি অত্যন্ত বোকামির পরিচয় হবে। তার মতে, সেটা হবে টাইটানিক চলচ্চিত্র দেখার পর সেই জাহাজের টিকিট কাটার মতো আচরণ। জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূতও রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপের সঙ্গে শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। করোনা সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধের কালো ছায়া কাটিয়ে তুলে আবার আগের মতো পণ্য ও পরিষেবার আদান প্রদান চালু করে নিজস্ব অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতে চায় চীন। কিন্তু ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সময় রাশিয়াকে সামরিক মদত দিলে সেই সম্ভাবনা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এমনকি সেক্ষেত্রে চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক
হককথা/সুমি