নিউইয়র্ক ০১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে আরও এক এলাকা?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬ বার পঠিত

সংগৃহীত ছবি।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাখমুত অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা ওয়াগনার আর্মি দখল করেছে বলে রাশিয়ার দাবি। কিয়েভ অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের পূর্বের শহর বাখমুত। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার বেসরকারি সেনা ওয়াগনারের তীব্র লড়াই হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক নৌপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে রাশিয়া

সম্প্রতি রাশিয়া দাবি করেছে, বাখমুত ঘিরে ফেলেছে ওয়াগনার আর্মি। এবার তারা শহরের ভিতরে প্রবেশ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়ার দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছে কিয়েভ। তাদের বক্তব্য, ওই গোটা এলাকা এখনো ইউক্রেনের সেনার হাতেই আছে। ডিডাব্লিউ খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

বাখমুত অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা ওয়াগনার আর্মি দখল করেছে বলে রাশিয়ার দাবি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, ওয়াগনার দাবি করছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ইয়াহিদনে গ্রামটি দখল করেছে। সেখান থেকে তারা বাখমুত শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। ইয়াহিদনে এখনো ইউক্রেনের হাতেই আছে। ওয়াগনারের প্রধান শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছিলেন, ইয়াহিদনে তাদের হাতে চলে এসেছে। তার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী বারখিভকা নিয়েও একই দাবি করেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ।

বস্তুত, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। রাশিয়ার সেনার পাশাপাশি ওয়াগনার সেনা প্রবল লড়াই চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, এখনো পর্যন্ত তারা রাশিয়ার সেনাকে আটকে রাখতে পেরেছন । বাখমুতে এক সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। গত এক বছরে তা কমতে কমতে পাঁচ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা আছেন, তারাও উপায় নেই বলে সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। গোটা শহরটি কার্যত এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই।

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।

তারই মধ্যে সারা দিন ধরে গোলাবর্ষণ হচ্ছে। রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বস্তুত, ডোনেটস্ক অঞ্চলের একাধিক জায়গা নতুন করে দখলের চেষ্টায় রাশিয়া। এদিকে রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের জানিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। পুতিনের কথায়, ‘পশ্চিমের লক্ষ্য একটাই, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাশিয়ান ফেডারেশনকে ধ্বংস করা।’

রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুতিনের দাবি, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিম সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে। একই সঙ্গে এদিন ন্যাটোকেও তুলোধোনা করেছেন পুতিন। ন্যাটোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে একথা তিনি আগেও বলেছিলেন।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে ফের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে বেলারুশ

এদিকে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি রাশিয়ার এলিট ফোর্সের বহু সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। ডোনেটস্কের লড়াই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দাবি। যদিও রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সাথী / হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে রাশিয়ার হাতে আরও এক এলাকা?

প্রকাশের সময় : ১২:৪৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাখমুত অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা ওয়াগনার আর্মি দখল করেছে বলে রাশিয়ার দাবি। কিয়েভ অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের পূর্বের শহর বাখমুত। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার বেসরকারি সেনা ওয়াগনারের তীব্র লড়াই হচ্ছে।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক নৌপথ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে রাশিয়া

সম্প্রতি রাশিয়া দাবি করেছে, বাখমুত ঘিরে ফেলেছে ওয়াগনার আর্মি। এবার তারা শহরের ভিতরে প্রবেশ করবে। কিন্তু বাস্তবে রাশিয়ার দাবি মিথ্যা বলে দাবি করেছে কিয়েভ। তাদের বক্তব্য, ওই গোটা এলাকা এখনো ইউক্রেনের সেনার হাতেই আছে। ডিডাব্লিউ খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

বাখমুত অঞ্চলের বেশ কিছু জায়গা ওয়াগনার আর্মি দখল করেছে বলে রাশিয়ার দাবি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়েছিল। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়, ওয়াগনার দাবি করছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ইয়াহিদনে গ্রামটি দখল করেছে। সেখান থেকে তারা বাখমুত শহরে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। ইয়াহিদনে এখনো ইউক্রেনের হাতেই আছে। ওয়াগনারের প্রধান শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছিলেন, ইয়াহিদনে তাদের হাতে চলে এসেছে। তার একদিন আগে পার্শ্ববর্তী বারখিভকা নিয়েও একই দাবি করেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় বছরের প্রথম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে ইউক্রেন যুদ্ধ।

বস্তুত, পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে। রাশিয়ার সেনার পাশাপাশি ওয়াগনার সেনা প্রবল লড়াই চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, এখনো পর্যন্ত তারা রাশিয়ার সেনাকে আটকে রাখতে পেরেছন । বাখমুতে এক সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। গত এক বছরে তা কমতে কমতে পাঁচ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা আছেন, তারাও উপায় নেই বলে সেখানে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। গোটা শহরটি কার্যত এক ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই।

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।

তারই মধ্যে সারা দিন ধরে গোলাবর্ষণ হচ্ছে। রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। বস্তুত, ডোনেটস্ক অঞ্চলের একাধিক জায়গা নতুন করে দখলের চেষ্টায় রাশিয়া। এদিকে রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের জানিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। পুতিনের কথায়, ‘পশ্চিমের লক্ষ্য একটাই, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রাশিয়ান ফেডারেশনকে ধ্বংস করা।’

রাশিয়া প্রাণপণে শহরটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুতিনের দাবি, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠিয়ে পশ্চিম সবচেয়ে বড় অন্যায় করেছে। একই সঙ্গে এদিন ন্যাটোকেও তুলোধোনা করেছেন পুতিন। ন্যাটোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে একথা তিনি আগেও বলেছিলেন।

আরোও পড়ুন । ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে ফের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে বেলারুশ

এদিকে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, সম্প্রতি রাশিয়ার এলিট ফোর্সের বহু সেনা ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন। ডোনেটস্কের লড়াই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে যুক্তরাজ্যের দাবি। যদিও রাশিয়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

সাথী / হককথা