নিউইয়র্ক ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকের আরো মরদেহ উদ্ধার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২
  • / ১১০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরে হস্টমেল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবারই (৫ এপ্রিল) ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরে গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, একটি গ্যারেজ থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুচা শহরে যেমন হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল, এখানেও দেহগুলো সেভাবেই ফেলে রাখা ছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, রাশিয়ার সেনাবাহিনীই এ কাজ করেছে। এছাড়াও বুচা থেকেও বেশ কিছু হস্টমেলের বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। আশপাশের অঞ্চলে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
দিনকয়েক আগেই কিয়েভ ও সংলগ্ন শহরতলী থেকে রাশিয়ার সেনারা ফিরে গেছে। তারপরেই একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। বুচা, হস্টমেলের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল মৃতদেহ। বুচায় উদ্ধার হয়েছে গণকবর। এরপর হস্টমেলের গ্যারাজ থেকেও ১১ জনের দেহ উদ্ধার হলো। অভিযোগ উঠেছে, যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা কেউ সেনা নয়, লড়াইয়েও অংশগ্রহণ করেননি। রাশিয়ার সেনা সাধারণ মানুষকেও ছাড়েনি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে প্রাত্যহিক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা যে অঞ্চলগুলো এখনো দখল করে রেখেছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহগুলো।
জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ বুচার ঘটনার পর গোটা বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, রাশিয়া তা নিয়ে চিন্তিত। তারা জানে, আরো বহু শহরে একই ধরনের যুদ্ধাপরাধ তারা করেছে। ইতোমধ্যেই তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফলে দ্রুত মরদেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, গোটা ইউক্রেন জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘে ভোট হওয়ার কথা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়াকে আর থাকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বুচার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই ভোটের আবেদন জানায়।
এখনো পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘে যত ভোট হয়েছে, প্রতিটিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেছে। বৃহস্পতিবারের ভোটও তেমন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ এবং সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে রাশিয়াকে সরে যেতে হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ সভা ৪৭টি দেশকে চার বছরের বছরের জন্য এই মানবাধিকার কাউন্সিলে মনোনীত করে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশেরই সময় শেষ হবে ২০২৩ সালে। বিশেষজ্ঞদের অন্য অংশের বক্তব্য, ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাশ করাতে হবে। ফলে অন্য ভোটের থেকে এই ভোট অনেক কঠিন বলে মনে করছেন তারা। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকের আরো মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০১:২৫:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অদূরে হস্টমেল শহর থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আরো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবারই (৫ এপ্রিল) ওই অঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, প্রায় ৪০০ মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পরে গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, একটি গ্যারেজ থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুচা শহরে যেমন হাত বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল, এখানেও দেহগুলো সেভাবেই ফেলে রাখা ছিল বলে অভিযোগ।
স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, রাশিয়ার সেনাবাহিনীই এ কাজ করেছে। এছাড়াও বুচা থেকেও বেশ কিছু হস্টমেলের বাসিন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। আশপাশের অঞ্চলে তাদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
দিনকয়েক আগেই কিয়েভ ও সংলগ্ন শহরতলী থেকে রাশিয়ার সেনারা ফিরে গেছে। তারপরেই একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। বুচা, হস্টমেলের রাস্তায় ছড়িয়ে ছিল মৃতদেহ। বুচায় উদ্ধার হয়েছে গণকবর। এরপর হস্টমেলের গ্যারাজ থেকেও ১১ জনের দেহ উদ্ধার হলো। অভিযোগ উঠেছে, যাদের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, তারা কেউ সেনা নয়, লড়াইয়েও অংশগ্রহণ করেননি। রাশিয়ার সেনা সাধারণ মানুষকেও ছাড়েনি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে যে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। টেলিগ্রামের নিজস্ব চ্যানেলে প্রাত্যহিক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তারা যে অঞ্চলগুলো এখনো দখল করে রেখেছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহগুলো।
জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কারণ বুচার ঘটনার পর গোটা বিশ্ব যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, রাশিয়া তা নিয়ে চিন্তিত। তারা জানে, আরো বহু শহরে একই ধরনের যুদ্ধাপরাধ তারা করেছে। ইতোমধ্যেই তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। ফলে দ্রুত মরদেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, গোটা ইউক্রেন জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘে ভোট হওয়ার কথা। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রাশিয়াকে আর থাকতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বুচার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র এই ভোটের আবেদন জানায়।
এখনো পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে জাতিসংঘে যত ভোট হয়েছে, প্রতিটিই রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেছে। বৃহস্পতিবারের ভোটও তেমন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ এবং সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে রাশিয়াকে সরে যেতে হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ সভা ৪৭টি দেশকে চার বছরের বছরের জন্য এই মানবাধিকার কাউন্সিলে মনোনীত করে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশেরই সময় শেষ হবে ২০২৩ সালে। বিশেষজ্ঞদের অন্য অংশের বক্তব্য, ভোটে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে প্রস্তাব পাশ করাতে হবে। ফলে অন্য ভোটের থেকে এই ভোট অনেক কঠিন বলে মনে করছেন তারা। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ