ইউক্রেনে বুধবার হামলা চালাতে পারে রাশিয়া

- প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ৪৮ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে। এরই মধ্যে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দাসূত্র উদ্ধৃত করে বলেছে, আগামী বুধবারই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে জার্মান সরকারকে রিপোর্ট দিয়েছেন গোয়েন্দারা।
যদিও সরকারিভাবে জার্মানি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রও খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে যুদ্ধের আশঙ্কা যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জার্মানি, ন্যাটো, যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
গতকাল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ফের বড়সড় নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়াকে। এদিকে আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন সফরে গিয়ে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা শলৎসের।
বস্তুত, ইউক্রেন জার্মানির কাছে ফের অস্ত্র সাহায্য চেয়েছে। জার্মানি এখনও তাদের তা দিতে অস্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এদিন দুই দেশের বৈঠক হওয়ার কথা। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার মস্কোয় যাওয়ার কথা শলৎসের। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা।
সফর শুরুর আগে শলৎস জানিয়েছেন, রাশিয়া আগ্রাসন দেখালে বড়সড় নিষেধাজ্ঞার সামনে তাদের পড়তে হবে। সে কথা মাথায় রেখে যেন রাশিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।
শলৎস মস্কো গেলেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না কূটনীতিকরা। জার্মান প্রশাসনের একটি সূত্রও ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, মস্কোর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জার্মানি খুব আশাবাদী নয়। যদিও এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছিলেন, পুতিন আলোচনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন।
রাশিয়া জানিয়েছে, যুদ্ধের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। তারা নয়, আগ্রাসন দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী। প্রয়োজনে রাশিয়া তার জবাব দেবে।
অর্থাৎ যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেও বল ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে রাখতে চাইছে রাশিয়া। আর বুধবার আক্রমণের বিষয়টিও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
তবে হোয়াইট হাউস গতকাল দাবি করেছে, এই সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে কারণেই ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও কূটনীতিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ন্যাটোও একই নির্দেশ জারি করেছে। -ডয়চে ভেলে
হককথা/এমউএ