‘আলোচনা বা যুদ্ধ, যেভাবেই হোক লক্ষ্য অর্জন করবে রাশিয়া’

- প্রকাশের সময় : ১১:৫০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
- / ৩৮ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আলোচনা অথবা যুদ্ধ, যেভাবেই হোক রাশিয়া লক্ষ্য অর্জন করবে। ইউক্রেন অস্ত্র না ছাড়লে দেশটিতে চলমান রুশ অভিযান বন্ধ করা সম্ভব নয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন তিনি।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে একটি টেলিফোন আলাপে পুতিন বলেন, কিয়েভ যদি সত্যিই যুদ্ধ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়— তাহলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত আছেন তিনি।
পুতিনকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানান ম্যাক্রোঁ। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তাগিদ দেন।
ইউক্রেনের দাবি, রুশ গোলাবর্ষণে জেপোরোজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ধরে গিয়েছিল। তবে আগুনের ওই ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে ক্রেমলিন।
পুতিন আরও বলেন, গতকাল রবিবার মারিউপোল ও ভলনোভাখা শহরে ‘যুদ্ধবিরতি’ ভেস্তে যাওয়ার কারণ হলো, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরা বেসামরিক মানুষজনকে যেতে বাধা দিয়েছে, বরং এই সুযোগে তারা শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়েছে।
ক্রেমলিন সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্কোর দাবি মেনে নিলে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করলেই কেবল রাশিয়া পিছু হটতে পারে। এছাড়া এই যুদ্ধ থামবে না। এরদোয়ানকে ফোনে এমনটাই জানিয়েছেন পুতিন।
এর আগে রেডক্রস জানিয়েছিল, কীভাবে বেসামরিক মানুষজনকে সরিয়ে নেয়া হবে, তা নিয়ে দুই পক্ষ একমত হতে না পারায় তারা কাজ শুরু করতে পারেনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ২৫টি শিশু রয়েছে। আর হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ৭৫৯ জন।
তবে জাতিসংঘ বলছে, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ ভারী গোলাবর্ষণ, বিস্ফোরণ বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, রাজধানী কিয়েভের উত্তর-পশ্চিম দিকের তিনটি শহর বুচা, হোস্টোমেল ও ইরপিনে অব্যাহতভাবে রুশ বোমাবর্ষণ চলছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী কিয়েভে পরিখা খনন করে ও রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে সম্ভাব্য রুশ অগ্রাভিযান ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
কিয়েভ থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের ছোট্ট শহর ইরপিনে আর্টিলারি ও বোমা হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখান থেকে প্রাণভয়ে পালাচ্ছে মানুষ। -বিবিসি
হককথা/এমউএ