আর্জেন্টিনায় ৯ পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
- প্রকাশের সময় : ০৫:৩২:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
- / ৪০ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার তিন বন্ধুর ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। কিশোররা গরিব ঘরের এবং ‘শ্যামলা’ বর্ণের বলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নয় পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দিয়েছে আর্জেন্টিনার আদালত।
২০২১ সালের ঘটনা। ফুটবল প্রশিক্ষণ শেষে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন বুয়েনর্স আইরেসের চার কিশোর। হঠাৎ একটি গাড়ি পেছন থেকে তাড়া করে। ওই গাড়িতে কিছু লেখা না থাকায় দুর্বৃত্তরা তাড়া করেছে ভেবে নিজেদের গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে কিশোররা। পেছনের গাড়ি আরো গতি বাড়িয়ে চলে আসে কাছে, চালানো হয় গুলি। দু’টি গুলি লাগে লুকাস গঞ্জালেসের মাথায়। গাড়িতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তারপরও চলে নির্যাতন। ত্যুর আগ পর্যন্ত ১৭ বছর বয়সী লুকাসের গায়ের বিভিন্ন স্থানে চেপে ধরা হয় জ্বলন্ত সিগারেট।
মঙ্গলবার ২০২১ সালের নভেম্বরের ওই হত্যা ও নির্যাতনের রায় ঘোষণা করেছে বুয়েনর্স আইরেসের আদালত। হত্যা ও নির্যাতনে সরাসরি জড়িত থাকায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তিন কর্মকর্তার। তবে মামলা হয়েছিল মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে ছয়জন হত্যা ও নির্যাতনের আলামত নষ্ট ও তথ্য গোপনের চেষ্টা করেছিলেন। অপরাধের মাত্রাভেদে চার থেকে আট বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাদের।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদিপক্ষের আইনজীবী গ্রেগোরিও দালবন বলেছেন, ‘আমরা খুশি, কারণ এর আগে কখনোই বর্ণবাদী ঘৃণার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সহিংসতার বিচার পাইনি।’
লুকাস গঞ্জালেস ও তার তিন বন্ধু বারাকাস সেন্ট্রাল ক্লাবের যুব দলে খেলতেন। লুকাসের মৃত্যুর পর চার কিশোরকেই অপরাধচক্রের সদস্য প্রমাণ করার চেষ্টা করে পুলিশ। আদালতে দাবি করা হয়, লুকাস ও তার বন্ধুরা আগে গুলি চালানোয় বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালায়। আর ওই গুলিতেই নিহত হয় লুকাস। লুকাসরা গুলি চালিয়েছিলেন- এ কথা বিশ্বাস করানোর জন্য গাড়িতে একটি বন্দুক রেখে দিয়েছিল পুলিশ। পরে দেখা যায়, সেটি আসলে খেলনা বন্দুক। – সূত্র : ডয়চে ভেলে
নাসরিন /হককথা