নিউইয়র্ক ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমেরিকান ৬০ কংগ্রেসম্যানের চিঠির ‘বদলা নিলেন’ পাকিস্তানের ১৬০ এমপি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৬৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারামুক্ত করার উদ্যোগ নিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৬০ সদস্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেষমেশ এবার পাকিস্তানের শতাধিক সংসদ সসদ্য এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে চিঠি লিখেছেন। খবর জিও নিউজের।
আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের অবস্থানকে বাস্তবতার প্রতি তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে পাকিস্তানের এমপিদের লেখা চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ইউএস প্রতিনিধি পরিষদের ৬২ সদস্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে যে অযৌক্তিক ও ভুল মন্তব্য করেছে সেই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে আমাদের এই চিঠি।
চিঠিতে পাকিস্তানের ১৬০ জন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও আছেন। ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে বাইডেনকে আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের লেখা চিঠিকে পাকিস্তানি এমপিরা বহিরাগত হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত সপ্তাহে চিঠিতে কংগ্রেসম্যানরা ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে ইমরানকে মুক্ত করার দাবি জানান। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী আইনপ্রণেতাদের সবাই বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যর ছিলেন।
ইমরান খানের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানিয়েছে, এটি পাকিস্তানের আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বারবার বলেছি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানের আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন ওই মুখপাত্র। তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ‘মিথ্যা’।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে আমেরিকান কূটনীতিক ডোনাল্ড লুর জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিকের বক্তব্যের জবাবে মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান অভিযোগ করেন যে, ২০২২ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আমেরিকান ৬০ কংগ্রেসম্যানের চিঠির ‘বদলা নিলেন’ পাকিস্তানের ১৬০ এমপি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

হককথা ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে কারামুক্ত করার উদ্যোগ নিতে গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৬০ সদস্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় বার্তা দিয়েছিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেষমেশ এবার পাকিস্তানের শতাধিক সংসদ সসদ্য এ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে চিঠি লিখেছেন। খবর জিও নিউজের।
আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের অবস্থানকে বাস্তবতার প্রতি তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে পাকিস্তানের এমপিদের লেখা চিঠিতে। সেখানে লেখা হয়েছে, ইউএস প্রতিনিধি পরিষদের ৬২ সদস্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্কে যে অযৌক্তিক ও ভুল মন্তব্য করেছে সেই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে আমাদের এই চিঠি।
চিঠিতে পাকিস্তানের ১৬০ জন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও আছেন। ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে বাইডেনকে আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের লেখা চিঠিকে পাকিস্তানি এমপিরা বহিরাগত হস্তক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গত সপ্তাহে চিঠিতে কংগ্রেসম্যানরা ইসলামাবাদ-ওয়াশিংটন কূটনৈতিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে ইমরানকে মুক্ত করার দাবি জানান। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী আইনপ্রণেতাদের সবাই বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যর ছিলেন।
ইমরান খানের বিষয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
এদিকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে জানিয়েছে, এটি পাকিস্তানের আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বারবার বলেছি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানের আদালত।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন ওই মুখপাত্র। তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা ‘মিথ্যা’।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে আমেরিকান কূটনীতিক ডোনাল্ড লুর জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিকের বক্তব্যের জবাবে মুখপাত্র এ মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান অভিযোগ করেন যে, ২০২২ সালে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।